নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১নং শুকাশ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অফিস দখল করে ধান চাউলের গুদাম ঘর করার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের ছেলে মোঃ জর্জিস আহমেদের বিরুদ্ধে।এ নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তৃণমুল নেতা কর্মী ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তষ্টের সৃষ্টি হয়েছে।তবে দখলের বিষয়টি স্বীকার করে ক্রয় সুত্রে জায়গাটির মালিক হয়েছেন এমন কথা জানিয়েছেন অভিযুক্ত জর্জিস আহমেদ।
উপজেলার ধুরশন কলিয়া বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বাজারের রাস্তা সংলগ্ন শুকাশ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অফিস নামে পরিচিত টিনশেড পাকা ঘরটি তালা দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে।স্থানীয়রা জানায়,এই অফিস ঘরটি এখন ধান চাউলের গুদাম ঘর হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আগমুর্শন গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন মায়া,ধুরশন গ্রামের ইউসুফ আলী ও ২নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মহসিন আলীসহ স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,২০০৮সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই বাজারে দলীয় অফিস ঘর করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
দলীয় নেতা কর্মীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে প্রথমত অফিস ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।এর পর ২০১১-২০১২ অর্থবছরে টিআর প্রকল্পের কিছু অর্থ আসলে অফিস ঘরের ৫০% কাজ করা হয়।ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মোজা বলেন,২০১৩ সালের আগে আমি যখন দায়িত্বে ছিলাম সেমময়ই ওই বাজারে আতাহার নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে জায়গা নিয়ে অফিস ঘরের আংশিক কাজ করা হয়েছিল।
দলীয় অফিস ঘরটি বেদখলের কথা শুনে খারাপ লাগছে।আমি এখন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দায়িত্বে নাই।যারা দায়িত্বে আছেন বিষয়টি তাদেরই দেখা উচিৎ।ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আজাহার আলী বলেন,বিষয়টি শুনেছি।কাউকে না বলে এভাবে দখল করা অন্যায় ও দুঃখজনক।
অভিযুক্ত জর্জিস আহমেদ বলেন,আমি গত বছর জায়গার মুল মালিক লক্ষিখোলা গ্রামের আমার ফুপু মজি বেগমের কাছ থেকে ১৪ শতক জায়গা কিনে নেই।ক্রয় ও দলিল সুত্রে এই জায়গার মালিক এখন আমি।আমার টাকা দিয়েই এই ঘর নির্মাণ করেছি।আমার বাবার রাজনৈকি ইমেজ নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই প্রতিপক্ষরা এই মিথ্যা অভিযোগ করেছে।