নাঙ্গলকোটের জোড্ডা পূর্ব ইউপির বাইয়ারা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি সংলগ্ন কালভার্টের মুখে মাটি ভরাট করে পানি চলাচল বন্ধ করায় এলাকার শতাধিক হেক্টর কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টিসহ বাড়িঘর এবং রাস্তাঘাটে পানি উঠায় এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে , দীর্ঘ দু‘শ বছর ধরে ওই এলাকার কৃষিজমির পানি বাইয়ারা সুফি বাড়ির উত্তর পাশের নালা দিয়ে বাইয়ারা-নাথেরপেটুয়া খালে প্রবাহিত হয়ে আসছে। এই পানি যাতায়াতরত কালভার্টের সামনে মাটি ভরাট করায় পানি অপসারণে বাধা সৃষ্টি হয়ে বাইয়ারা গ্রামের পূর্বপাড়া মাঠের প্রায় একশ একর কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কৃষকরা ধান চাষাবাদ করার পর পানিতে ডুবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। কৃষকরা ধানের বীজ তলা পর্যন্ত তৈরী করতে পারছেন না।
তাছাড়া জলাবদ্ধতায় বাইয়ারা বুড়া মিয়া ফকির মাজার থেকে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল করিমের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি পানির নিচে ডুবে ভেঙ্গে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে আসা- যাওয়াতেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাইয়ারা কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি আবুল বাশর বলেন, প্রায় দু‘শবছরের নালার সামনে সাজু মাটি ভরাট করায় গত দুই বছর যাবত শতাধিক হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা ধান চাষাবাদ করতে না পারায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে এসে কৃষকদের দুর্ভোগ দেখে গেছেন।
বাইয়ারা গ্রামের দুলাল ও কৃষক মাওলানা আমির হোসেন বলেন,জলাবদ্ধতায় বাড়িঘরে পানি উঠেছে। পাশবর্তী সড়কটি পানি ডুবে যাওয়ায় যাতায়াত করা সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় কালভার্টের সামনের মটি অপসারণ করে এবং নালাটি সংস্কার করে বক্স কালভার্ট নির্মাণের মাধ্যমে পানি অপসারণের ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত সাজু বলেন- সকলে যদি পানি অপসারণের ব্যবস্থা করেন, তাহলে আপত্তি নেই। এবিষয়ে গতকাল রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল বলেন, এখনোও কোন অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।