নাঙ্গলকোট উপজেলার ১৩ টি ইউপির পঞ্চম ধাপে ৮ টি ইউপিতে আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আওয়ামী দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ৮ জন ও আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে ৩৫ জন, এর মধ্যে অনেকেই বসিয়ে দেয়া হয়েছে । সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৮০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৭৬ জন প্রার্থী। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি মনোনীত কোন প্রার্থী না থাকায় নিজ দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীরাই এখন আওয়ামী মনোনীত প্রার্থীদের বিষফোঁড়া হয়ে দাড়িয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করার লক্ষ্যে প্রশাসন রয়েছে শক্ত অবস্থানে। অপরদিকে প্রতীক বরাদ্দের দিন পেরিয়া ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থীর একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর পর থেকেই কম বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটছে।
সাধারণ ভোটারদের ক্ষোভ, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পরেও শংকায় রয়েছে সঠিক ফলাফল নিয়ে। এরইমধ্যে আওয়ামী দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের তার স্ব স্ব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এবং বিভিন্ন অভিযোগে মামলার আসামি হয়ে অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী হয়রানির শিকার হচ্ছে। কিন্তু এতে কোন সু-ফুল মেলেনি। উল্টো রাগে ক্ষোভে ভোটাররা বিদ্রোহীদের দিকেই ইঙ্গিত করছে।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের উপজেলা নীতিনির্ধারকেরা স্বজন প্রীতির বিনিময়ের মাধ্যমে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। যারা দলের হাইব্রিড নেতা বেশির ভাগ তারাই মনোনয়ন পেয়েছে। আর কোন কোন যায়গায় দলের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী নীতি নির্ধারক নেতা বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে কেউ নয়। আজকে যারা মামলায় হয়রানি হচ্ছে তারা আমাদেরই দলীয় লোক। কোন এক সময় সরকার পরিবর্তন হলে এদের আরও বেশি হয়রানির শিকার হতে হবে। আমরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছি। দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হয়রানি না করে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়া উচিৎ। তাহলেই সঠিক নেতার নেত্রীত্ব পাবে এদেশের মানুষ। সাধারণ ভোটারদের আশা প্রশাসন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবে। এবং ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে নিরাপদে বাড়ি আসার প্রত্যাশা।