1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
নতুন উদ্ভাবন ১ বার ধান রোপনে ৫বার ফলন
বাংলাদেশ । শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ ।। ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ
জামালগঞ্জে নদীর ওপর সেতু না থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে!! মাছ মারতে যাওয়ার পথে জেলেরই মর্মান্তিক মৃত্যু!! স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ইবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল সন্ধ্যা নামলেই এলইডির তিব্র আলো ঘটছে দুর্ঘটনা : চোখের মারাত্মক ক্ষতি শিলাবৃষ্টিতে দোয়ারাবাজারে সহস্রাধিক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত!! ব্রিজ পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নেই; জনগণের ভোগান্তি চরমে! ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে অতিষ্ট দৌলতপুরের মানুষ! রেলক্রসিংয়ে গেটকিপার ঘুমিয়ে, অল্পের জন্য রক্ষা পেল দুটি ট্রাকসহ পথচারী চুরি হলো সেই শহীদ ভারতীয় মিত্র বাহিনীর অরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভে দোয়ারাবাজারে কলেজছাত্রী তমা হত্যার খুনি লিটনের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

নতুন উদ্ভাবন ১ বার ধান রোপনে ৫বার ফলন

তিমির বনিক :
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১
  • ৩৪১ বার পড়েছে

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কানিহাটি গ্রামের জিনবিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী নতুন ধানের জাতের উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়েছেন এলাকাবাসীকে। তার উদ্ভাবন করা নতুন ধানের এ জাত এবার নিজ গ্রামে চাষ হয়েছে। অবাক হওয়ার বিষয় এই ধান একবার রোপণের পর পাঁচবার কাটা যায়। বছরে এই একই ধান গাছ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচবার ফসল জন্মায়।

এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কুলাউড়ার কানিহাটি গ্রামের দিগন্ত জুড়ে সোনালী ফসলের মাঠ। এই ফসলের মধ্যে জন্মেছে নতুন এই আলোড়ন সৃষ্টিকারী ধান। এই ধান একবার রোপণ করলে রছরজুড়ে পাঁচবার ফলন হয়। ধানের এ নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন জিনবিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী। প্রবাসী এ বিজ্ঞানী দীর্ঘদিন ধরে ধানের নতুন জাত আবিষ্কার নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছেন। তবে এক ধানগাছ থেকে পাঁচবার ফলন পাওয়াতে তিনি সন্তুষ্ট নন। যাতে ছয়বার একই গাছ থেকে ধান পাওয়া যায় এ নিয়ে বর্তমানে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নতুন জাতের এ ধান যাতে সারাদেশে চাষাবাদ করা যায় সেই চেষ্টাও করছেন তিনি।

এই বিজ্ঞানী বলেন, আমরা কৃষির ওপর খুব নির্ভরশীল ছিলাম। কিন্তু কৃষকরা অবহেলিত। তারা উন্নত জীবন যাপন করতে পারে না। এটা আমার জন্য খুব পীড়াদায়ক ছিল। মানুষ শুধু চায় কমদামে ধান পেতে। কিন্তু কৃষকরা যে মূল্য পাচ্ছে না, সেটা নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে কৃষিতে কিভাবে আয় বাড়ানো যায় ব্যয় কমানো যায়, এটা নিয়ে সারাক্ষণ চিন্তা করি।

তিনি বলেন, আমার চিন্তা একটা ধানগাছ জমিতে থাকবে, বিশাল আকার ধারণ করে অনেক অনেক ধান দেবে। আমি এই জিনিসটাই করতে চেয়েছি অত্যন্ত আনন্দের বিষয় আমি তা করতে পেরেছি। বোরো হিসেবে বছরের প্রথমে লাগানো এ ধান ১১০ দিন পর পেকেছে। ওই গাছেই পর্যায়ক্রমে ৪৫ দিন পরপর একবার বোরো, দুইবার আউশ এবং দুইবার আমন ধান পেকেছে। কম সময়ে পাকা এই ধানের উৎপাদন বেশি, খরচও কম। তবে প্রথম ফলনের চেয়ে পরের ফলনগুলোতে উৎপাদন কিছুটা কম। কিন্তু পাঁচবারের ফলন মিলিয়ে উৎপাদন প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।

তিনি আরও বলেন, বছরের যেকোনো সময়ে এ ধানগাছ রোপণ করা যায়। পরের ধাপগুলোতে কিছুটা কম ধান উৎপাদন হচ্ছে। আমার চেষ্টা থাকবে, আরও বেশি ফলন বের করার। বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী জানান, যে জাতগুলোর ধান পাকার পর কেটে নিয়ে গেলে আবার ধানের শীষ বের হয়, সেগুলো তিনি আলাদা করেন। এভাবে ১২টি জাত বের করেন। তিন বছর ধরে জাতগুলো চাষ করে দেখলেন, নিয়মিতভাবে এগুলো দ্বিতীয়বার ফলন দিচ্ছে। তারপর তিনি শুরু করেন একই গাছে তৃতীয়বার ফলনের গবেষণা। চারটি জাত একই গাছ থেকে পাঁচবার ফলন দিচ্ছে। এই চারটি জাতের ওপর ১০ বছর ধরে চলছে গবেষণা।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে বোরো ধানের এই চারটি জাত দুই বিঘা জমিতে রোপণ করা হয়। পরিমাণমতো ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা হয়। সঠিকভাবে সেচ ও পরিচর্যা করার পর ১১০ দিনের মধ্যে ৮৫ সেন্টিমিটার থেকে এক মিটার উচ্চতার গাছে ফসল আসে। পরে মাটি থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পরিকল্পিতভাবে ওই ধান কেটে ফেলা হয়।

মে মাসের প্রথম দিকে প্রথমবার কাটা ধানে হেক্টরপ্রতি উৎপাদন হয়েছে চার টন। তারপর থেকে ৪৫ দিন অন্তর প্রতিটি মৌসুমে হেক্টরপ্রতি কখনও দুই টন, কখনও তিন টন ফলন এসেছে। সবগুলো জাত হেক্টরপ্রতি প্রায় ১৬ টন ফলন দিয়েছে। পাঁচবার চাষ হয় বলে প্রাথমিকভাবে এই ধানের নাম দেয়া হয়েছে ‘পঞ্চব্রীহি’।

আবেদ চৌধুরীর এই ধান দেখাশোনা করছেন রাসেল মিয়া। তিনি বলেন, কৃষকরা খুব কম খরচে এই ধান উৎপাদন করতে পারবেন। প্রথমবার উৎপাদনে যে খরচ হয়, পরের বার উৎপাদনে তেমন খরচ নেই। জমি প্রস্তুত করে বোরো রোপণের পর আর জমি প্রস্তুত করতে হয় না। নির্দিষ্ট একটা মাপে ধান কেটে নেওয়ার পর মোড়া অংশে লতাপাতা ও ঘাস বাছাই করে সার দিই। এটুকু করলেই আবার ধানের গাছ বাড়তে থাকে।

রাসেল জানান, যদি পোকামাকড়ে ধরে তাহলে সামান্য কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এই ধান মেঘবৃষ্টি নষ্ট করতে পারে না। খুব শক্ত ধানের গাছ। এলাকার কৃষকরা এ ধানের ফলন দেখে চাষাবাদ করতে আগ্রহী হয়েছেন। কানিহাটির কৃষক পাবেল জানান, আমাদের এলাকার সন্তান ড. আবেদ স্যার যে ধান উৎপাদন করেছেন সেটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমরা এই ধান নিজেরা চাষ করতে চাই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD