1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
নওগাঁ হানাদার মুক্ত দিবসে ঘোড়দৌড়
বাংলাদেশ । শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ
ডাঃ তাহসীন বাহার সুচনার বিজয়ে কুমিল্লার লন্ডন প্রবাসীদের ইফতার ও মিষ্টি বিতরন এক মিনিটে ৮টি ক্রিম বিস্কুট খেয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এ আবেদন । বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন সাকিব আল হাসান অবরোধের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রলীগের মোটরসাইকেল শোডাউন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বিএনপি জামায়াতকে অগ্নি সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে নির্বাচনে আসার আহবান-এমপি বাহার হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনে  সৈয়দপুর পুলিশের সাফল্য, গ্রেফতার ৩ কুলাউড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সুপারের তদারকি জাপার সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ কুমিল্লায় হরতাল-অবরোধে ২২ পিকেটিং-ভাংচুর মামলা গ্রেফতার ১০৪

নওগাঁ হানাদার মুক্ত দিবসে ঘোড়দৌড়

রুহুল আমিন:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৪২১ বার পড়েছে

দেশ স্বাধীনের দুইদিন পর ১৮ ডিসেম্বর নওগাঁ হানাদার মুক্ত হয়। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্থান সেনাবাহিনীরা ঢাকায় আত্মসমর্পন করলেও নওগাঁর পাক সেনারা আত্মসমর্পণ না করে সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত যুদ্ধ করে। অভশেষে প্রায় দুই হাজার পাকিস্থানী সেনা নওগাঁর যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। ফলে একাত্তর সালের দেশ স্বাধীনের দুই দিন পর ১৮ ডিসেম্বর নওগাঁকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

নওগাঁ হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও ঘোড়দৌড় প্রতিযোগীতা করেছে স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁর অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় শহরের এটিম মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ সদর আসনের সাংসদ ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন। পরে মাঠ থেকে শোভাযাত্রা বের হয় এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বেলা ১২টার দিকে মাঠে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগীতা হয়।

এ সময় একুশে পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি.এম আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা ইমাম উদ্দিন, সংগঠনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি ওহিদুল রহমান, সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, সাধারন সম্পাদক মনোয়ার হোসেন লিনট, সাবেক সাধারন সম্পাদক এমএম রাসেলসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঐতিহ্যবাহি এ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় নওগাঁ ও আশেপাশের জেলা থেকে প্রায় ৩২ টি ঘোড়া অংশগ্রহন করে। প্রথম পর্যায়ে ছয়টি দলে খেলা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে দুই দলে ১২টি ঘোড়া অংশ নেয়। চুড়ান্ত পর্যায়ে এ গ্রুপ থেকে প্রথম হয় মজিবর রহমান, দ্বিতীয় নাজমুল ও তৃতীয় তাসমিনা। গ্রুপ বি থেকে প্রথম হয় আব্দুল্লাহ দ্বিতয়ি হামিদুল হক ও তৃতীয় কামরুল হাসান। বিজয়ী প্রত্যেককে মোবাইল ফোন পুরুস্কৃত করা হয়।

মাঠে শহরের বিভিন্ন মহল্লা থেকে নারী পুরুষ, শিশু কিশোর, আবালবৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার হাজারো মানুষ ঘোড়দৌড় উপভোগ করে। সকল মানুষের গন্তব্যের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে এটিম মাঠ। ঘোড়সওয়ারী তাসমিনা আক্তার বলেন, আমি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘৌড় দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েছি এবং প্রথম হয়েছি। আজকের খেলায়ও অংশগ্রহণ করতে পেরে আমাকে খুবই ভালো লাগছে। তাসমিনা বলেন ঘোড়া দেখে অনেক মেয়েরাই ভয় পায়। আমি যে আজকে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অংশ নিচ্ছি এইটা দেখে যেন অন্য মেয়েরাও ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে সেটি আমার মূল লক্ষ্য। মেয়েরাও কোন জায়গায় পিছিয়ে থাকবে না একুশে পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি.এম আব্দুল বারী বলেন, সংগঠনটি ১৯৯৪ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যসহ সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় আনুষ্ঠানিক ভাবে গত ২০১৫ সাল থেকে নওগাঁ হানাদার মুক্ত দিবসটি পালন করে আসছে। কেন ১৮ ডিসেম্বর নওগাঁ হানাদার মুক্ত হলো আগামী তরুন প্রজন্মের নিকট আমাদের বার্তাটি পৌঁছে দিতে চাই।

ঘৌড়দৌড় একটি প্রাচীন খেলা। এ খেলার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের কথা তরুন প্রজনের কাছে বলতে চাই। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্থান সেনাবাহিনী ঢাকায় আত্মসমর্পনের খবর জানার পরও নওগাঁর পাকিস্থান সেনাবাহিনীরা অত্মসমর্পণ করবে না বলে ঘোষণা দেয়। ফলে কমান্ডার জালাল হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে পর দিন সকাল ৭টার দিকে প্রায় ৩৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা নওগাঁ শহরের দিকে অগ্রসর হন। ১৭ ডিসেম্বর, শীতের সকাল।

মুক্তিবাহিনী জগৎসিংহপুর ও খলিশাকুড়ি গ্রামে আসতেই পাকিস্থানী সেনারা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে। সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উভয় পক্ষে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে ৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৮ ডিসেম্বর শনিবার সকালে বগুড়া থেকে অগ্রসরমান ভারতীয় মেজর চন্দ্রশেখর, পশ্চিম দিনাজপুর বালুরঘাট থেকে পিবি রায়ের নেতৃত্বে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী নওগাঁয় প্রবেশ করলে হানাদার বাহিনীর আর কিছুই করার ছিলনা। ফলে সকাল ১০টার দিকে প্রায় দুই হাজার পাকসেনা নওগাঁ কেডি স্কুল থেকে পিএম গার্লস স্কুল, সরকারী গার্লস স্কুল, পুরাতন থানা চত্ত্বর এবং এসডিও অফিস থেকে শুরু করে রাস্তার দু’পাশে মাটিতে অস্ত্র রেখে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে নতমস্তকে আত্মসমর্পণ করে। তৎকালিন নওগাঁ মহকুমা প্রশাসক সৈয়দ মার্গুব মোরশেদ মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীকে স্বাগত জানান। বর্তমান পুরাতান কালেক্টরেট (এসডি) অফিস চত্ত্বরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেখানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা পতাকার প্রতি সালাম জানিয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন। ফলে নওগাঁ হানাদারমুক্ত হয় ১৮ ডিসেম্বর।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD