আলাদা মামলায় নওগাঁয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পাঁচ নেতা ও নওগাঁ পৌর সভার ৩ বারের সফল বিএনপি মনোনীত মেয়র নাজমুল হক সনির বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থী সাদমান হক নীলকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন জানান,এই ছয় আসামীর জামিনের কোনো সুযোগ ছিল না।তারা পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুর মামলার আসামী।
সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আলাদা মামলায় নওগাঁয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পাঁচ নেতাসহ মেয়র পুত্রের জামিন নাকচ করে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।রোববার বিকেলে নওগাঁর মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ আশরাফুল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে তারা জামিনের আবেদন করেন।বিচারক জামিন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামীরা হলেন নওগাঁ সদর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক সারোয়ার কামাল চঞ্চল,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম টুটুল,জেলা যুবদলের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন মুক্তার,জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান বাদশা,যোগাযোগ সম্পাদক বকুল হোসেন ও মেয়র পুত্র সাদমান হক নীল।আসামী পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক জানান,নাশকতার মামলায় উচ্চ আদালত থেকে তারা চার সপ্তাহের জামিনে ছিলেন।পরে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন জানান,এই ছয় আসামীর জামিনের কোনো সুযোগ ছিল না।তারা পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুর মামলার আসামী।হেফাজত কর্মী নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চলতি বছরের ৩০ মার্চ নওগাঁ শহরের কেডির মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।এতে অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য ও বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।সরকারি কাজে বাধা,পুলিশের ওপর হামলা,সরকারি সম্পত্তিসহ জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনায় ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় নওগাঁ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান মামলা করেন।