নওগাঁ পুলিশ লাইন্স গেটের সামনে থেকেকনস্টেবল পদে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধভাবে টাকা লেনদেনের সময় প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশ।তবে অপর সহযোগী এবং ভিকটিম পালিয়ে যায়।ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়,সোমবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের প্রথম ধাপের প্রথম দিনের বাছাই পরীক্ষা চলছিলো।
পরীক্ষা চলাকালীন পুলিশ লাইন্স,নওগাঁর ১নং গেটের সামনে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রতারক চক্রের এক সদস্য যার ঠিকানা হলো পত্নীতলা উপজেলার গগনপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত. বারিক মন্ডলের ছেলে মোঃ হাসান (৪৮) বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে ঘুষের টাকা লেনদেন কালে ৫০,০০০/-টাকাসহ হাতেনাতে তাকে গেপ্তার করা হয়।তার অপর সহযোগী এবং ভিকটিম(টাকা প্রদানকারী) ঘটনাস্থল থেকে সু-কৌশলে লোকজনের ভিড়ের মধ্যে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর ইনচার্জ (ডিবি) কে,এম শামসুদ্দিন বলেন,পুলিশ লাইন্স গেটের সামনে অবৈধভাবে টাকা লেনদেনের সময় টাকাসহ হাসানকে আটক করা হয়।কনস্টেবল পদে চাকুরী দেয়া হাসান নামের একজন ব্যক্তি আরেক ব্যক্তির কাছে থেকে তিনি ৫০হাজার টাকা লেনদেন করছিলেন।এসময় ডিবির একটি চৌকস টিম দেখতে পেয়ে সন্দেহ হলে তাৎক্ষনিক তাকে আটক করে।
তবে তার সাথে থাকা দু,জন লোক অবস্থা খারাপ টের পেয়ে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়।পরে পুলিশের প্রথম মৌখিক জেরায় হাসান তার অপরাধ স্বীকার করে বলেছেন হ্যাঁ আমি তাকে পুলিশে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নিয়েছি।আটক হাসানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি।সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে।এর সাথে আরও কারা জড়িত আছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রতারক হাসানের বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি ঘুষ বানিজ্য ও প্রতারনা মামলা দায়ের করা হয়েছে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন,ডিবি পুলিশের হাতে আটক হাসানের বিরুদ্ধে থানায় ঘুষ বানিজ্য ও প্রতারনার অভিযোগে হাসানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।তার বিরুদ্ধে আরও এমন প্রতারনার ব্যাপারে কারো যদি অভিযোগ থাকে সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে।সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।