নওগাঁয় উজ্জ্বল হোসেন (২৬) নামের এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। রোববার (২৫ জুলাই) বেলা ১১টায় উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বিলভবানীপুর গ্রামের শুকুরের মোড় এলাকার খেরের চারার মাঠের ডিপ ঘরের পাশে পাট ক্ষেত থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উজ্জ্বল হোসেন একই গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর একমাত্র ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উজ্জ্বল হোসেন এলাকায় একটি ডিস নেটওয়ার্কের লাইনম্যানের কাজ করতো।
ডিস লাইন সংযোগ এর সমস্যা হলে সে মেরামতের কাজে নিয়োজিত ছিল। যার কারনে অনেক রাত করে বাড়ি ফিরতো। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডিপের ঘরের পাশে পাট ক্ষেতের ধারে তার গলাকাটা অবস্থায় মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ জনি জানান কিছুদিন আগেও পাশের এলাকার পুকুরে মসজিদের এক মোয়াজ্জিনের হাত পা বাঁধা মরদেহ পাওয়া গেছে। আজ উজ্জলের গলাকাটা মরদেহ পাটক্ষেতে পাওয়া গেলো। কে বা কারা এর সাথে জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি।
সম্রাট হোসেন নামের স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, উজ্জল হোসেন ডিস নেটওয়ার্কের লাইন ম্যান হিসেবে কাজ করতো।সকালে আমরা জানতে পারি পাঠক্ষেতে তার মরদেহ পড়ে আছে।এর পর পুলিশকে জানালে মরদেহটি উদ্ধার করে।কেন এমন হত্যাকান্ড কিছুই জানিনা।কখনো কারো সাথে ঝগড়া-বিবাদের কথা শুনতে পাইনি।তবে ব্যক্তিগত কোন কারনে এমন হত্যাকান্ড কিনা তার সঠিক কারনটা পুলিশ খুঁজে বের করবেন বলে আশা করছি। এর আগেও আমাদের এলাকায় মোয়াজ্জিন এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সেটার রহস্য আজও পুলিশ বের করতে পারেনি।আমরা চাই এ হত্যাকান্ডগুলোর রহস্য এবং এর সাথে জড়িতদের আটক করে কঠিনতম শাস্তি দেয়া হোক।যাতে এমন অপকর্ম আর কেউ করার সাহস না পায়।এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়রা খবর দিলে বেলা ১১টার দিকে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত উজ্জল হোসেন এলাকার একটি ডিসের লাইনম্যান হিসেবে কাজ করতো জানতে পেরেছি।নিহতের গলায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে। তবে কি কারনে এমন হত্যাকান্ড বা কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।