দ্বিতীয় পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নওগাঁ জেলার দুই উপজেলা ২০টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে ১১ জন ও স্বতন্ত্র নয়জন বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নওগাঁ জেলা নির্বাচন অফিসার মাহমুদ হাসান বেসরকারি ভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নওগাঁ সদর উপজেলার আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে ছয়জন এবং স্বতন্ত্র ছয়জন বিজয়ী হয়েছেন।
বিজয়ীরা হলেন, নৌকা প্রতীকে- চন্ডিপুর ইউনিয়নে খুরশিদ আলম রুবেল, বর্ষাইল ইউনিয়নে সহিদুল ইসলাম, শিকারপুর ইউনিয়নে কাজী রুকুনুজ্জামান টুকু, বোয়ালিয়া ইউনিয়নে আফেলাতুন নেছা, তিলোকপুর ইউনিয়নে রেজাউল করিম, বলিহার ইউনিয়নে মাসরেফুর রায়হান মাহিন।
স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- হাঁপানিয়া ইউনিয়নে দেওয়ান মোস্তাক আহম্মেদ রাজা, বক্তারপুর ইউনিয়নে সারোয়ার কামাল চঞ্চল, কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নে নাজমুল হক হান্নান, হাঁসাইগাড়ি ইউনিয়নে জসিম উদ্দিন, শৈলগাছী ইউনিয়নে মোয়াজ্জেম হোসেন এবং দুবলহাটি ইউনিয়নে আজম শাহ।
সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১১১টি কেন্দ্রের ৬০১টি কক্ষে ভোট গ্রহন হয়। ১১টি ইউনিয়নে ৬৫৫ টি ব্যালট বাক্স এবং বক্তারপুর ইউনিয়নে ৯টি কেন্দ্রে ৮২ টি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট গ্রহন সম্পূর্ন হয়। যেখানে চেয়ারম্যান পদে ৬৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার ৯৮২ জন।
অপরদিকে, রানীনগর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আটটি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা পাঁচ ও স্বতন্ত্র তিনজন বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছে। জয়ীরা হলেন, নৌকা প্রতীকে- রানীনগর সদরের খট্টেশ^র ইউনিয়নে চন্দনা শারমিন রুমকি, মিরাট ইউনিয়নে হাফেজ জিয়াউর রহমান, গোনা ইউনিয়নে আব্দুল খালেক, বরগাছা ইউনিয়নে আব্দুল মতিন, একডালা ইউনিয়নে শাহজাহান আলী। বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন- কালীগ্রাম ইউনিয়নে আব্দুল ওয়াহাব চাঁন, কাশিমপুর ইউনিয়নে মকলেছুর রহমান বাবু ও পারইল ইউনিয়নে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।
এ উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ৭৪টি কেন্দ্রে ৪৩২টি কক্ষে ভোট গ্রহণ হয়। এরমধ্যে সাত টি ইউনিয়নে ৪৪৭ টি ব্যালট বাক্স এবং কাশিমপুর ইউনিয়নে নয়টি কেন্দ্রে ৫০টি বুথে ৭৫টি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধিতিতে। যেখানে চেয়ারম্যান পদে ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৩৪ জন।