নওগাঁর আত্রাইয়ে কাকের প্রতি ভালবাসা ও মহানুভবতা প্রদর্শন করে প্রতিদিন সকালে তাদের খাবার প্রদান করছেন হতদরিদ্র িআত্রাই রেলগেটের প্রতিবন্ধী গেটম্যান জানে আলমের স্ত্রী সায়মা বিবি।তারা স্বামী স্ত্রী দুই জনেই প্রতিদিন সকালে পাউরুটি টুকরো টুকরো করে এলাকার কাকগুলোকে খাবার দিয়ে থাকেন।আর প্রত্যহ সকালে শত শত কাক খাবারের জন্য এখানে এসে জমায়েত হয়।
জানা যায়,দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর থেকে আত্রাই রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ রেলগেটে গেটম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী জানে আলম।সম্প্রতি গেটম্যানের জন্য রেলওয়ের পক্ষ থেকে ঘর নির্মাণ হওয়ায় বয়বৃদ্ধ জানে আলম ও তার স্ত্রী এখানেই থাকেন।রেলওয়ের পক্ষ থেকে এখানে কোন গেটম্যান নিয়োগ না থাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাসিক মাত্র ৫০০ টাকা মাইনায় তারা স্বামী-স্ত্রী দুইজনে মিলেই এ দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
এদিকে তারা নিজেরা দরিদ্র হলেও জীবের প্রতি ভালবাসা ও মহানুভবতা জয় করে নিয়েছে তাদের হৃদয়।তাই প্রতিদিন একঝাঁক কাকের মেহমানদারি তাদের প্রাত্যহিক রুটিনে পরিণত হয়েছে।প্রতিদিন সকাল হলেই শত শত কাক রেলগেট সংলগ্ন একটি টিনের চালার উপর জমায়েত হয়ে কা-কা আওয়াজ দিতে থাকে।আর তখনই সায়মা বিবি পাউরুটির প্যাকেট নিয়ে হাজির তাদের কাছে।টুকরো টুকরো খাবার পেয়ে কাকগুলো পরিতৃপ্ততার সাথে বিদায় নেয় সেখান থেকে।
এ বিষয়ে সায়মা বিবি বলেন,কাক হলেও তারা তো আল্লাহর মাখলুক।তাই তাদেরকে খেতে দিয়ে আমি আনন্দ পাই।শুরুর দিকে অল্প কিছু কাক আসতো।এখন অনেক বেশি কাক খাবারের জন্য আসে।তাদের প্রতি আমার আলাদা একটি ভালবাসা জন্মেছে।লকডাউনে পাউরুটি পাওয়া যাচ্ছিলো না।কিন্তু তারা তো লকডাউন বুঝে না।তাই যে কোন ভাবেই পাউরুটি সংগ্রহ করে আমি প্রতিদিন সকালে তাদের খাবার দিয়ে থাকি।