কুমিল্লার দেবীদ্বারে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা তুলে না নেয়ায় এক কিশোরী ও তার মা-বাবাকে প্রকাশ্যে লাঠিপেটা করার ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে র্যাব।শুক্রবার (২৭ আগস্ট) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।আটককৃতরা হলেন,দেবীদ্বার উপজেলার কুরছাপ গ্রামের মৃত.আলী হোসেন মুন্সীর ছেলে মোঃ নুরুল ইসলাম (৬৮) ও মোঃ মোস্তফা কামাল (৬১) এবং একই এলাকার মোঃ কাউছারের স্ত্রী নারগিছ (৩০)।
জানা যায়,চলতি বছরের ২৪ মে বিকেল ৩টায় এক কিশোরীকে একটি খালি ঘরে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা চালান কুরছাপ গ্রামের মৃত. আলী হোসেন মুন্সীর ছেলে হাসান।এ ঘটনা হাসানের চাচি দেখে ফেললে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়।পরে অচেতন অবস্থায় স্থানীয় লোকজন এসে ওই কিশোরীকে ঘর থেকে উদ্ধার করেন।এ ঘটনায় পরদিন ওই কিশোরীর বাবা মোঃ জামাল হোসেন কুমিল্লা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেন।এতে আরও ক্ষিপ্ত হয় হাসানের পরিবার।
পরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় মামলা তুলে নিতে ওই কিশোরীর পরিবারকে চাপ দেয় হাসানের পরিবার।এতেও কোনো কাজ না হওয়ায় প্রথমে ওই কিশোরীর বাবাকে পরে কিশোরীকে বেদম মারধর করেন হাসানের পরিবারের লোকজন।গত ২০ আগস্ট দুপুরে হাসানের বড়ভাই কাউছার কিশোরীর মাকে রাস্তায় পেয়ে প্রকাশ্যে লাঠিপেঠা করেন।
গতকাল (২৬ আগস্ট) দুপুরে নির্যাতনের ৩২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।এ নিয়ে এলাকায় তুমুল সমালোচনা চলছে।এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কিশোরির বাবা বাদী হয়ে দেবীদ্বার থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।ওই মামলায় হাসানের ভাই নুরুল ইসলাম ও মোস্তফা কামাল এবং একই বাড়ির কাউছারের স্ত্রী নারগিছকে গ্রেফতার করে র্যাব।