ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন এর ছেলে সাবেক বিজিপি সদস্য মোঃ ইস্রাফিল এর ঘর তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা মোঃ ফারুক ও ইন্দনদাতা মহিউদ্দিন মাস্টারের বিরুদ্ধে।
দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের দিদারুল্লাহ গ্রামের কবিরাজ বাড়ির বাসিন্ধা মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন এর এক মাত্র ছেলে বড়ার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিপি) এর সাবেক সদস্য মোঃ ইস্রাফিল কে তার নিজ বাড়িতে তার বাবার ক্রয়কৃত জমির উপর ঘর তুলতে বাধা দিচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এর নেতা মহিউদ্দিন মাষ্টারের ইন্দনে স্থানীয় বিএনপি নেতা ফারুক গংরা।
অভিযোগ কারী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মোঃ ইস্রাফিল বড়ার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিপি) তে চাকুরী করতেন। চাকুরীর সুবাদে র্দীঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা পড়ে। তাই সে র্দীঘদিন যাবত বাড়িতে ছিলো না। সে অবসর গ্রহন করার পর নিজ গ্রামে এসে উক্ত বাড়িতে তার বাবার ক্রয়ক্রিত জমির উপর ঘর তুলতে গেলে বাধা দেয় ফারুক গংরা। শুধু তাই নয় ইতি পূর্বে তারা বাড়িতে না থাকার ফলে অভিযুক্ত ফারুক গংরা জোড় পূর্বক তাদের জমিতে রান্না ঘর তোলে। তা এখন সরিয়ে নিতে বললে ও নানান তালবাহানা করেন এবং হুমকি প্রর্দশন করেন।
বর্তমানে ও তাকে উক্ত ঘরটি সরিয়ে নিতে বললে অভিযুক্ত ফারুক রান্না ঘর সরিয়ে নিবে বলে জানালেও পরবর্তীতে মোঃ ইস্রাফিল যখন রাজ নিয়ে তার ঘরের কাজ শুরু করলে উল্ট তার ঘরের কাজে বাধা দেয় এবং উল্ট তখন ফারুক গংরা রান্না ঘর সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এবং মোঃ ইস্রাফিল গংদের ঘরের কাজ বন্ধ করে দেন এবং তাদেরকে বিভিন্ন খারাপ ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন। মোঃ ইস্রাফিল গংরা সামাজিক দিক চিন্তা করে সেখানে আর বাড়াবাড়ি না করে স্থানীয় গণ্যমান্যদের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। স্থানীয় গণ্যমান্যরা সালিশি মীমাংসার মাধ্যমে বিষয়টির একটি সুরাহা করে দেন এবং ফারুকে রান্নাঘর সরিয়ে নেওয়ার জন্য পয়সালা দেন। ঘর সরিয়ে নেওয়ার জন্য ফারুক গংদের কে ১৫ হাজার টাকা দিতে বলেন। ইসরাফিল গংরা স্থানীয় সালিশি মেনে নিয়ে মোঃ ফারুক গংদের কে সাথে সাথে ১৫ হাজার দিয়ে দেন। তার কিছুদিন পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন মাস্টারের ইন্দনে নানান তালবাহানা শুরু করেন এর ঘরটি সরিয়ে না নিয়ে উল্টো হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করেন অভিযুক্ত ফারুক গংরা। উপায়ন্ত না পেয়ে ইসরাফিল গংরা আইনের আশ্রয় নেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার মোঃ রনি হাওলাদার জানান, আমরা বিষয় টি সম্পের্কে অবগত, বিষয়টি নিয়ে আমরা বসে মিমাংশা করে দিয়েছি কিন্তু ফারুক গংরা তা মানছে না। তাই তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। এ বিষয় দৌলতখান থানার দায়িত্বরত এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে আমরা উভয় পক্ষ কে আগামী রোববার (২ জানুয়ারী) কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসার জন্য অনুরোধ করেছি।