সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা বাক প্রতিবন্ধী মা হয়েছে। সোমবার সকালে বাংলাবাজার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয় সে। নবাগত সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন ভুক্তভোগী পরিবার।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীর পরিবার সুত্রে জানা যায়,সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ঝুমগাও খাসিয়াবাড়ী গ্রামের ১৬ বছর বয়সের বাক প্রতিবন্ধি মেয়েকে প্রতিবেশী ওসমানের ছেলে আবদুস ছাত্তার দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ১০ মাস পূর্বে বাড়িতে একা পেয়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বখাটে আবদুস ছাত্তার বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করে। তাকে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়।
অতিসম্প্রতি ঘটনাটি প্রকাশ পেলে গ্রাম-পঞ্চায়েতের চাপে দেড় লাখ টাকা দেন-মোহর দিয়ে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়। পরে পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অস্বীকার করে এবং লম্পট আবুস ছাত্তার তার পরিবারের লোকজনের প্ররোচনায় ঘা ঢাকা দেয়। স্থানীয়ভাবে বিষয়টির প্রতিকার না পেয়ে আইনের দারস্থ হয়েছেন তারা এ ঘটনায় গত ১৬ই মে সন্ধ্যায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধির মা বাদী হয়ে দোয়ারাবাজার থানায় উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ঝুমগাও খাসিয়াবাড়ী গ্রামের ওসমানের ছেলে আবদুস ছাত্তারকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।অভিযুক্ত আব্দুছ ছাত্তারকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ইউপি সদস্য আব্দুল কাদির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক।কিছুদিন আগে সালিশ বৈঠকে স্থানীয় মুরব্বীদের উপস্থিতিতে দুই লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে বাক প্রতিবন্ধি মেয়েটির সাথে অভিযুক্ত আব্দুস সাত্তারের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।কিন্তু পরের দিন অভিযুক্ত আব্দুস সাত্তারের পরিবার সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিয়েতে অসম্মতি জানাকে ভুক্তভোগী পরিবার থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলা চলমান রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এস আই শুপ্রাংশু দে দিলু জানান, মামলাটি তদন্তাধীন আছে।অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান নবাগত শিশু ও শিশুর মা সুস্থ আছে খবর পেয়েছি, আদালতকে অবগত করা হবে।