সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সরকারি ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী তমাকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে খুনি লিটনের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২মে) দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গণে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী তমা আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এর আগে কলেজ ক্যাম্পাস হতে ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়ক পর্যন্ত বিশাল বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন। উভয় কর্মসূচির বক্তব্যে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ সকলেই নিহত কলেজছাত্রী তমার ধর্ষক ও খুনি লিটনের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ ছিলনা তমা হত্যার ঘটনাস্থল দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও গ্রামে। তমার মা-বাবা, ভাইবোন কেউই তখন বাড়িতে ছিলেন না। তমার বাবা ফরিদ আহমদ জরুরি কাজে ছোট ছেলেসহ স্থানীয় হাটে ছিলেন। ওই সুযোগে লিটন নির্জন ঘরে ঢুকে একাকী তমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করে রান্নাঘরের দরজার চৌকাঠে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। ওই রাতেই তমার বাবা ফরিদ আহমদ বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দোয়ারাবাজার থানায় অজ্ঞাত হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরদিন সকালে বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনাস্থলের দুই কিলোমিটার দূরে স্থানীয় দশনলি মোকাম এলাকা থেকে খুনি লিটন আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও ওইদিন বিকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষণের পর কলেজছাত্রী তমা আক্তারকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করেছে বলে স্বীকারোক্তি করে লিটন আহমদ (২০)। এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ সহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা কর্মকর্তা ও সংবাদকর্মীরা। খুনি লিটন আহমদ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের খলিল আহমদের ছেলে।