কুড়িগ্রামের রৌমারীতে অবৈধভাবে নদীতে ও ফসলি জমিতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখায় দুই ইউপি সদস্যসহ ৪২ ড্রেজার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতের জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট ( আমলী আদালত, রৌমারী) মো. সুমন আলি এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইসমাঈল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আদালতের আদেশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণির কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদসহ উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। এর ফলে নদী ভাঙন তরান্বিত হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বসতভিটাসহ আবাদি জমি হারাচ্ছেন।
এ নিয়ে গত ২৩ এপ্রিল দৈনিক মানবকন্ঠ সহ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। পরে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে গত ২ মে দ্যা কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১৯০(১) (সি) ও ১৫৬ ধারার অধীন রৌমারী থানার অফিসার ইন চার্জকে (ওসি) বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ওই প্রতিবেদনে উপজেলার ৪২ পয়েন্টে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে আদালতকে জানায় পুলিশ।
এসব ড্রেজারের বৈধ কোনও কাগজপত্র নেই এবং রৌমারী উপজেলায় সরকারের কোনও বালু মহালও নেই বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, বুধবার পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ৪ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে উল্লেখিত ৪২ পয়েন্টে চলমান ড্রেজার মালিককে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেন। একই সাথে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল প্রতিবেদনের দিন ধার্য করেন আদালত।
আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের জন্য যাদুরচর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বানিজ উদ্দিন ও রৌমারী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খলিল মিয়াসহ ৪২ জন ড্রেজার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।