দিনে গরম রাতে ঠান্ডা এমন আবহাওয়া পরিবর্তনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীদের চাপ। গত এক সপ্তাহে আড়াই,শ শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। বিছানা সংকটে হিমশিম খাচ্ছে রোগী ও রোগীর লোকজন সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এসব রোগীদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাঁশি, ঠান্ডা জনিত শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে।
বুধবার(২২ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় হাসপাতালের শিশু বিভাগে প্রচুর রোগী ভর্তি রয়েছে। বিছানা সংকটে হাসপাতালের করিডোর এবং বারান্দার মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন রোগীরা।
খবর নিয়ে জানাযায়, গত ১৬ মার্চ থেকে ২২ মার্চ বুধবার দুপুর পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে শিশু ওয়ার্ডে সর্বমোট ২৪০ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে।এর মধ্যে ১৬ মার্চ সারাদিনে সর্বমোট ৩৪ জন, রোগী ভর্তি হয়েছে। ১৭ মার্চ সারাদিন ভর্তি হয়েছে ১৮ জন, ১৮ মার্চ সারাদিনে ভর্তি হয়েছে ৬০ জন, ১৯ মার্চ সারাদিনে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিলো ৩৬ জন, ২০ মার্চ সারাদিনে ভর্তি হয়েছে ৪৫ জন,
২১ মার্চ সারাদিনে ভর্তি হয়েছে ৩৫জন এবং ২২ মার্চ বুধবার দুপুর পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ১২জন, এদিন সর্বমোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিলো ১১৭ জন। বর্তমানে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে সর্বমোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১৭ জন। এই এক সপ্তাহের মধ্য ১৮ মার্চ সর্বচ্চো শিশু ভর্তি হয়েছে।
এদিন সারাদিনে মোট ৬০ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে বলে জানান শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা নার্সরা। এসব শিশু রোগীদের মধ্যে জ্বর, ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন তারা।খবর নিয়ে জানা যায় চাঁদপুর জেলা শহরে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে গত কয়েক দিনের গরম এবং শৈত প্রবাহের কারনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে হাসপাতালে আড়াই,শ শিশু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
সরজমিনে দেখা গেছে রোগীদের চাপে হাসপাতালের কোথাও ঠাঁই নেই। শিশু ওয়ার্ডের সবকটি বিছানা পরিপূর্ন হয়ে মেঝেতে ও রোগীদের জন্য বিছানা পাতা হয়েছে। এসব রোগীরা জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, খিচুনী এবং নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এছাড়া ও অনেক শিশু রোগীকে অভিভাবকরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে যান। একই ভাবে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বয়স্ক রোগীরাও।এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডাঃ মোঃ আসিবুল আহসান চৌধুরীর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন আবহাওয়া পরিবর্তনে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
একই ভাবে অসুস্থ হচ্ছেন বয়োবৃদ্ধরাও। তিনি জানান, দেখা গেছে শৈত প্রবাহ থেকে ধীরে ধীরে গরম আবহাওয়া পড়তে শুরু করেছে। বেশ কিছুদিন ধরে দিনে হালকা গরম, রাতে ঠান্ডা পড়ছে। যার কারনে বৃদ্ধ এবং শিশুরা হঠাৎ, জ্বর সর্দি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। তাই বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে রোগীদের প্রচুর চাপ দেখা দিয়েছে।