ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে গণপরিবহনের চাপ নেই। রোববার (১ আগস্ট) ভোর থেকে মহাসড়কে দুএকটি বাস চোখে পড়লেও প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে করে যাত্রীদের ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে।সরজমিনে দেখা যায়, কুমিল্লা পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড়, সেনানিবাস, চান্দিনা ও দাউদকান্দি এলাকায় যাত্রীবাহী বাস তেমন চোখে পড়েনি। তবে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে মানুষ চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে চালকারা ভাড়া নিচ্ছেন কয়েকগুণ বেশি।
জগৎ মিয়া নামের এক যাত্রী বলেন,বাস কম থাকায় তিনি প্রাইভেটকারে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় এসেছেন। কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড় পর্যন্ত তাকে ভাড়া গুনতে হয়েছে ৫০০ টাকা।আউয়াল নামের আরেক যাত্রী বলেন,ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় যাবো। তবে আধাঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি কোনো বাস পাচ্ছি না। শেষ পর্যন্ত মনে হয় প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাসে যেতে হবে, তারা ভাড়া চাচ্ছেন বেশি। প্রাইভেটকারে ৮০০ আর মাইক্রোবাসে ৫০০ টাকা।
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন,মহাসড়কের কুমিল্লার ৯৭ কিলোমিটার অংশে চারটি চেকপোস্ট সকাল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ অংশে ৮টি টহল টিম কাজ করছে।গত ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন চলছে। এর মধ্যে ৩০ জুলাই (শুক্রবার) সন্ধ্যায় ঘোষণা আসে রোববার (১ আগস্ট) থেকে শিল্পকারখানা খুলবে। ঘোষণার পর থেকে শিল্পকারখানার শ্রমিকরা রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেন।