সড়কে চলাচল করা যানবাহন গুলোর সামনে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন দুটি হাতি।প্রতিটি ট্রাক,মটরসাইকেল,পথচারী সহ বিভিন্ন দোকনে গিয়ে নিচ্ছেন টাকা।যেটাকে বলছেন হাতির বকশিস।শুক্রবার (০১ অক্টোবর ) চিত্রটি চোখে পড়ে ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ এলাকায়।সড়কে চলাচলা করা যানবহন পথচারীর সামনে গিয়ে হাতি দুটি শুড় তুলে দিচ্ছেন সালাম।পরেই নিচ্ছেন তার বকশিস।
সরেজমিনে দেখা যায়,দুটি হাতির পিঠে বসে আছেন রাজু ও আব্দুল বাতেন নামের দুই মাহুত।হাতি দুটির মালিক তারাই।রাস্তার বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রী ও পথচারীদের কাছ থেকে হাতির শুঁড় উঁচু করে যানবাহনের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাত্রী ও চালকের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছেন।টাকা না দেওয়া পর্যন্ত কোনো গাড়ি ও পথচারীকেই ছাড়ছে না হাতি দুটি।রাস্তায় হাতির এমন যানবাহন থামিয়ে দেওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকার মানুষেরা।
নেকমরদ এলাকার বাসচালক ইব্রাহীম বলেন,বাস নিয়ে বের হওয়ার সময় হাতিটি বাসটি আটকে দেয়।মাহুত সালামির জন্য আমাকে কিছু টাকা দিতে বলার পর উপায় না দেখে হাতির শুঁড়ে ২০ টাকা গুঁজে দিই।কিন্তু হাতিটি টাকা ছোড়ে ফেলে।পরে ৫০ টাকা দিয়ে ছাড়া পাই।
আব্দুল হাই নামের আরেক পথচারী বলেন,বাজার থেকে বাসার দিকে যাচ্ছিলাম।হঠাৎ দেখি হাতিটি আমার সামনে এসে দাঁড়ালো।এরপর তার পিঠে থাকা একটি ছেলে বলছেন টাকা দেন।প্রথমে ১০টাকা দিলে হাতিটি নিতে চায়না।পরে হাতির পিঠে থাকা ছেলেটি বলে ৫০ টাকা না দিলে হাতি নিবেনা।কোন উপায় না পেয়ে দিতে হয়েছে।
হাতির মাহুত আবদুল বাতেনও রাজু বলেন,রানীশংকৈল দুটি হাতি নিয়ে পায়ে হেঁটে এসেছেন তাঁরা।পথে দোকানে দোকানে গিয়ে সালাম দেওয়ার পর লোকজন যা দেন তা নিয়ে নেন।তবে জোর করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।সবাই খুশি হয়ে দিচ্ছে তাই কিছু খাওয়ার জন্য নিচ্ছি।এটাকে চাঁদাবাজি বলে না।এটা হাতির জন্য বকশিস।
রানীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদ ইকবাল বলেন,বিষয়টি নিয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।যদি এ ধরনের কোন অভিযোগ পেয়ে থাকি তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।