জমিসংক্রান্ত বিরোধে ঠাকুরগাঁওয়ে বড় ছেলে কফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে বৃদ্ধ বাবা আজিম উদ্দীন (৯০) ও মা কুলসুল বেগমকে (৭০) বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।বর্তমানে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ অভিযোগ করছেন বৃদ্ধ ওই বাবা-মা।শুক্রবার (০৯ জুলাই) ঘটনাটি ঘটে ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে দেহানাগড় ডাঙ্গীপাড়া গ্রামে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের বড় ছেলে কফিল উদ্দিন, তার বউ মালেকা এবং ছেলে মানিক ও মুক্তার নামে এমন অভিযোগ করছেন বৃদ্ধ বাবা-মা।যদিও অভিযোগের কথাটি অস্বীকার করছেন কফিল উদ্দিন।
ওই দম্পতির ছোট ছেলে রফিক ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, কিছু দিন ধরেই বাবা-মায়ের সঙ্গে বড় ভাইয়ের জমি নিয়ে সমস্যা চলছে। শুক্রবার সকালে বড় ভাই জোড় করে জমি দখল করতে আসলে বাবা-মা বাধা দিতে গেলে তাদের মারপিট করে চলে যায় ভাই।তিনি আরও বলেন, জমির সমস্যা আলাদা বিষয় কিন্তু বাবা-মাকে এভাবে মারবে এটা কখনো ভাবনি।আমার বড় ভাই, ভাবি ও তাদের ছেলে সবাই বাবা-মাকে পিটিয়ে মাঠে ফেলে রেখেছে।আমি বাবা-মায়ের চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি তারা পড়ে আছে।আমার ছেলে বাধা দিতে গেলে তারা তাকেও মারপিট করে চলে যায়।
তবে অভিযোগের কথা অস্বীকার করে কফিল উদ্দিন বলেন,সকালের দিকে জমিতে আমি রোপা লাগাতে যাই।এ সময় আমার বাবা-মা হঠাৎ করেই জমিতে এসে গড়াগড়ি শুরু করে।পেছন দিক দিয়ে আমার ছোট ভাই রফিক ও তার বউ আমাদের ওপর চাড়াও হয়।তিনি আরও বলেন,তারা আমাকে অনেক মারধর করেছে, আমার ছেলেকেও মারছে।আমার মাথায় সেলাই পড়েছে।আমরা নিজেরাই চিকিৎসাধীন রয়েছি।এখন মিথ্যা কথা বলছে, আমি নাকি আমার বাবা-মাকে মারছি।
হাজীপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন,তাদের পরিবারে মাঝে জমি নিয়ে একটা সমস্যা রয়েছে।আমি তাদের বলেছিলাম পারিবারিক ভাবে বসে এটার একটা সমাধান করে দেওয়ার।কিন্তু করোনার কারণে আর বসা হয়নি। যদি কফিল তার বাবা-মাকে মারধর করে থাকে তাহলে এটি সে ভুল করেছে।ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের মারামারি হয়েছে।দুই পক্ষের লোকজনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।এ সময় বাবা-মা এক ছেলের পক্ষ নিতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।