নীলফামারীর সৈয়দপুরে ট্রাক চাপায় টার্মিনালে কর্মরত ৩ জন মোটর শ্রমিক নিহত হয়েছে এবং একজন গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৩ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টায় সৈয়দপুর বাস টার্মিনালের পূর্ব গেটলক স্টপেজে। চালক ও হেলপারসহ ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টার্মিনালের পূর্ব গেটলক স্টপেজ থেকে বগুড়াগামী একটি বাসে যাত্রী তুলছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। এমন সময় হঠাৎ করে পাশের সুমনা পেট্রোল পাম্প থেকে তেল নিয়ে দ্রুত গতিতে অতিক্রম করে একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো -ড-১১-২১১৯)।
এতে ট্রাক ও বাসের বডির মাঝে চাপা পড়ে ওই শ্রমিকরা। এর মধ্যে নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির চেইন মাস্টার জাহাঙ্গীর ভান্ডারী (৬০) নিচে পড়ে যায়। ফলে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি টার্মিনাল সংলগ্ন নিয়ামতপুর জুম্মা পাড়ার মৃত ফয়মুদ্দি মামুদের ছেলে।
অপর ৩ জনকে গুরুতর আহতাবস্থায় দ্রুত সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়ার পথে ২ জন পথেই মারা যায়। তারা হলেন নীলফামারী জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য রবিউল ইসলাম (৫৫), আলম (৫৫)। অপর শ্রমিক চাপ্পু (৪০) গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত রবিউল ইসলাম নীলফামারী সদর উপজেলার কাজীরহাট উত্তরা ইপিজেড সংলগ্ন রেয়াজের ছেলে এবং আলম সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাসকান্দর চেংমারীপাড়ার ইয়াকুব আলীর ছেলে।
আহত চাপ্পু সৈয়দপুর শহরের নতুনবাবুপাড়ার বাসিন্দা। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সৈয়দপুর ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক জ্যোর্তিময় রায় জানান, ট্রাকটি রংপুর থেকে সৈয়দপুরে আসছিলো। এ সময় তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলে একজন এবং বাকি দু’জন সৈয়দপুর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দেওয়ান মজিবুদৌলা জকি জানান, নিহত দুইজন ও আহত ব্যক্তি আমার ইউনিয়নের (২২০) এর সদস্য। তারা বগুড়াগামী বাসগুলোতে চেইন মেইনটেন করে থাকে। রংপুর থেকে আসা ট্রাকটি ব্রেইক ফেইল করায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, ট্রাকটি পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।