গত কয়েকদিনের ভারী ও টানা বর্ষণে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লাসহ বিভিন্ন উপজেলা ও বেরিবাঁধ এলাকায় জলবদ্ধার সৃষ্টি হয়ে বন্যায় রূপ নিয়েছে। বৃষ্টির পানিতে বিভিন্ন গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন বসত বাড়ি, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক,কৃষি আবাদ, পোলট্রি খামার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও চাষকৃত মাছের ঘের। গাছপালা ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ। বিশেষ করে চাঁদপুরের নদীপাড় এলাকা ও বেরিবাঁধের ভেতরে থাকা সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, গত দু,দিনের ভারী বর্ষণে ঠিকমতো পানি নিস্কাশন না হওয়ার কারনে চাঁদপুর শহরের বিভিন্নস্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন, ১২নং চান্দ্রা, ৮নং বাগাদী নানুপুর, সকদীসহ বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টির পানি জমে বন্যা রূপ ধারন করেছে। একই সাথে ফরিদগঞ্জ উপজেলা, হাজীগঞ্জ, মতলব উত্তর, শাহরাস্তি বেরিবাঁধের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে সড়ক, বাসাবাড়িতেও ঢুকছে পানি। পানি বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষসহ মৎস্যচাষিরা। ইতোমধ্যেই বেশকিছু মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে।
এদিকে এমন পানি নিস্কাশনের জন্য চাঁদপুর সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলেও টানা বৃষ্টির কারনে তা কোনো সূফল পাওয়া যাচ্ছেনা। চাঁদপুর বেরিবাঁধ এলাকায় পানি নিস্কাশনের জন্য যেসব সুইচগেট রয়েছে। সেগুলো দিয়ে বাঁধের পানি নিস্কাশন করলেও, বৃষ্টির পানিতে তা পূরন হয়ে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে বৃষ্টি ও বন্যায় আক্রান্ত বিভিন্ন জেলার মানুষেরা সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহল আমিন জানান, বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের জন্য আমরা ব্যবস্থা নিলেও তা তেমর কার্যকর হচ্ছেনা। আমাদের বাঁধ দিয়ে যা পানি বের করা হয়। সেগুলো বৃষ্টির পানিতে আবার পূরণ হয়ে যায়।