টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামী সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খানের মুক্তির জামিন আবেদন আবার নামঞ্জুর করেছেন আদালত।আজ সোমবার টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।সহিদুর টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খানের ভাই এবং ওই আসনের আওয়ামীগ দলীয় বর্তমান সাংসদ আতাউর রহমান খানের ছেলে।প্রায় ১১ মাস ধরে তিনি কারাগারে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান বলেন,টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহিদুর রহমান খানের আইনজীবীরা তাঁর জামিন আবেদন করেছিলেন।আজ এ আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল।শুনানিকালে আইনজীবীরা যেকোনো শর্তে মুক্তির জামিন প্রার্থনা করেন।শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মাসুদ পারভেজ আবেদন নামঞ্জুর করেন।এ নিয়ে ১৬ বারের মতো তাঁর জামিন আবেদন আদালত নামঞ্জুর করলেন।
ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় ছয় বছর পলাতক থাকার পর গত বছরের ২ ডিসেম্বর সহিদুর টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।তার পর থেকে তিনি কারা হেফাজতে।গত ১৮ আগস্ট কারাগারে অসুস্থ হওয়ার পর তাঁকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়।সেখানে প্রায় এক মাস চিকিৎসা শেষে তাঁকে আবার টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনার ৩দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করে।এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে আনিসুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ওই দুজন হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সাংসদ আমানুর রহমান খান,তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান,ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খানের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।আমানুর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন।প্রায় ৩ বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।তাঁর অন্য দুই ভাই এখনো পলাতক।