টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে এক প্রসূতির নবজাতক পরিবর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৃহবধূ ও তার স্বামীর অভিযোগ, তার পুত্রসন্তান জন্ম হলেও দেওয়া হয়েছে কন্যাসন্তান। গৃহবধূর পরিবার পুত্রসন্তানের দাবি জানিয়ে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার কুমুদিনী হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল গ্রামের গৃহবধূর নাম মোছা: সুমাইয়া আক্তার (১৮) এবং তার স্বামীর নাম মো:আরশাদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার রাতে সুমাইয়ার স্বামী আরশাদুল, মামা আজিজুর এবং বোন শারমিন অভিযোগ করেন, গত (২৬ অক্টোবর) তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করা হয়। এর আগে কুমুদিনী হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম করা হলে চিকিৎসক ডা. বপন কুমার তাদের জানান পুত্রসন্তান হবে। এছাড়া হাসপাতালের বাহিরের হালিম আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তুলি পাল ও বাঁশতৈল ক্লিনিকের ডা. তারেক মাহমুদও একই রিপোর্ট প্রদান করেন বলে তারা জানান। গতকাল বুধবার কুমুদিনী হাসপাতালে সুমাইয়ার সিজারের মাধ্যমে পুত্রসন্তান হয় বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়। খুশির সংবাদে মিষ্টিও বিতরণ করা হয় বলে সুমাইয়ার পরিবার জানায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকালে এনআইসি থেকে সুমাইয়ার পরিবারের কাছে পুত্রসন্তানের পরিবর্তে কন্যাসন্তান তুলে দেওয়া হয়। সুমাইয়া ও তার পরিবার এ ঘটনা মেনে নিতে রাজি না হওয়ায় হাসপাতালে তোলপাড় শুরু হয়।
এ বিষয়ে কুমুদিনী হাসপাতালের এজিএম (অপারেশন) অনিমেশ ভৌমিক লিটন বলেন, হাসপাতালের কাগজপত্রে সুমাইয়ার কন্যাসন্তান হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। যেহেতু অভিযোগ পাওয়া গেছে, এ বিষয়ে সুমাইয়ার পরিবার ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিন জানান। এই বিষয়ে সুমাইয়ার মামা আজিজুর রহমান ও বোন শারমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা দৈনিক কালজয়ীকে জানান,আমাদের পুত্রসন্তান হয়েছে এটা নিশ্চিত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পুত্রসন্তান পরিবর্তন করে কন্যাসন্তান দিয়েছে।তারা আরো বলেন আমরা পুত্রসন্তানের দাবি জানিয়ে এবং কুমুদিনী হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন জানায়, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে এবং কুমুদিনী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।