টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় দাদার লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত নাতী মো. রিফাত মিয়া (১৩) নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যায়। নিহত রিফাত একই উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ইরতা পূর্বপাড়া গ্রামের মো. রেজাউল
মিয়ার ছেলে। সে সহবতপুর হাই স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানা যায়, বুধবার বিকেলে সহবতপুর বাজার থেকে রিফাতের বাবা বড় একটি পাঙ্গাস মাছ কিনে বাড়িতে আনেন। রিফাতের দাদা রাজ্জাক মিয়ার সঙ্গে রেজাউলের মাছ কেনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় রাজ্জাক মিয়া, তার স্ত্রী এবং ছোট ছেলের বৌ মিলে রেজাউল ও রিফাতকে মারধর করেন। মারধরের এক পর্যায়ে রাজ্জাক মিয়া লাঠি দিয়ে রিফাত ও রেজাউলের মাথায় আঘাত করেন।
এতে রেজাউল ও রিফাত গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন পরে দুইজনকে উদ্ধার করে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে রিফাত মারা যায়। নিহত রিফাতের বাবা রেজাউল বলেন,আমি ঢাকায় একটি আড়তে কাজ করি। ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসি। বুধবার বিকেলে স্থানীয় সহবতপুর বাজার থেকে একটি পাঙ্গাস মাছ কিনে আনি। আমার বাবা, মা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মাছ কেনাকে কেন্দ্র করে আমার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে। এক পর্যায়ে আমাদেরকে মারধর করা হয়। রাতেই আমার ছেলে রিফাত মারা যায়।
নগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খবর পেয়ে নগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রিফাতের লাশ উদ্বার করে টাঙ্গাইল সদর হাসাপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।