টাঙ্গাইলের সখীপুরে ভোট দিতে অস্বীকার করায় সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী গোলাপীর লোকজন শিপন মিয়া (৩৫) নামের এক ভোটারকে বাড়িতে গিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।বুধবার রাত ১১টার দিকে সখীপুর উপজেলার ৮নং বহুরিয়া ইউনিয়নের কালিদাস বল্যাচালা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ওই ইউনিয়নের ১,২,৩নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী, ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি গোলাপী বেগমের ভাই রফিকুল ইসলাম ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠেছে। শিপনকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।পরে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহত শিপন মিয়া ওই গ্রামের মো:আব্দুল সামাদ মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, ৮নং বহুরিয়া ইউনিয়নের ১,২,৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী, ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি গোলাপী বেগমের সহোদর ভাই রফিকুল ইসলাম ও তার সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকা ১নং ওয়ার্ডের কালিদাস বল্যাচালা শিপন মিয়ার বাড়িতে ভোট চাইতে যান। এ সময় শিপন মিয়া ভোট দিতে অস্বীকার করলে গোলাপী বেগমের ভাই রফিকুল ইসলাম শিপনকে তার ঘরের ভেতর গিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আরফান মিয়া বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় আমার মোটরসাইকেল যোগে শিপনকে সখীপুর হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিতে বললে তাকে টাঙ্গাইল পাঠানোর ব্যবস্থা করে চলে সে আসে।হামলার শিকার-দিনমুজুর শিপন মিয়া দৈনিক কালজয়ীকে বলেন, গোলাপীকে ভোট দিতে না চাইলে তার ভাই রফিকুল আমার ঘরে ঢুকে আমার উপর হামলা চালায়। কিছুটা সুস্থ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও তিনি জানান।
এ ঘটনায় সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী ও ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি গোলাপী বেগম দৈনিক কালজয়ীকে জানান, ওইদিন আমি ৩নং ওয়ার্ডে একটি ওয়াজ মাহফিলে ছিলাম। রাত ৩টায় ফিরে আমি জানতে পারি যে টিভি দেখাকে কেন্দ্র করে রফিকুল ও শিপন এর মধ্যে ঝামেলা হয়। এখানে আমি জড়িত নই। তবে শীগ্রই বিষয়টি স্থানীয় ভাবে বসে মীমাংসা করা হবে বলেও জানান তিনি।