টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাইমহাটী গ্রামে মাছ চাষে বাধা দেওয়ায় ৬ গ্রামবাসীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আল মামুন ও তার দুই সহযোগীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জাপুর আমলী আদালতের বিচারক রুপম কুমার দাস তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জানাযায়,টাঙ্গাইল মির্জাপুর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আল মামুন বাইমহাটী গ্রামের লোকজনের জমি জোরপূর্বক দখল নিয়ে মাছ চাষ করছিলেন।গত ১২ আগস্ট গ্রামবাসী তাদের জমিতে মামুনের ঘেরাও দেওয়া জাল তুলতে গেলে যুবলীগ নেতা মামুন ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক লতিফ শিকদারের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একটি দল রামদা, টেটা ও লাঠি নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন।
এতে আহত হয়েছেন জমির মালিক নজরুল ইসলাম,বিল্লাল হোসেন,শাহিন,শামীম ও সাজ্জাত হোসেন।এ ঘটনায় ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন।
কোর্ট পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান,গত ২২ আগস্ট ১৩ আসামির মধ্যে সাতজন হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তিনজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়।বাকি চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।এছাড়া,মির্জাপুর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আল মামুন,তার ছোট ভাই জুয়েল দেওয়ান,বাবা আরফান দেওয়ান,পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাকের ছোট ভাই লতিফ শিকদার,আরিফ মিয়া ও শামীম শিকদার নিম্ন আদালতে হাজির না হয়ে উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন।
ওনি আরও জানান,মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুপম কুমার দাসের আদালতে দেওয়ান মামুন,লতিফ শিকদার,শামীম শিকদার,আরিফ মিয়া ও জুয়েল দেওয়ান হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন।শুনানি শেষে লতিফ শিকদার ও জুয়েল দেওয়ানের জামিন মঞ্জুর করা হয়।আর যুবলীগ নেতা দেওয়ান আল মামুন, আরিফ মিয়া ও শামীম শিকদারের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।