টাঙ্গাইলের মধুপুরে বারোমাসি হলুদ তরমুজ চাষ করে সফল চমক দেখালেন মধুপুরের কুড়াগাছা ইউনিয়নের ভবানীটেকী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মাসুদ হাসান।তরমুজের এই বাণিজ্যিক চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন মাসুদ।প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন আসছেন এক নজর মাসুদের তরমুজ বাগান দেখার জন্য।মধুপুর বনাঞ্চলের ভবানীটেকি গ্রামে ৭ বিঘা জমিতে নতুন প্রজাতির তরমুজ চাষ করে সফলতার স্বপ্ন বুনছেন এই কৃষক।ফলন ভালো হওয়ায় কয়েক গুন লাভের সম্ভাবনা দেখছেন মাসুদ হাসান।
খোঁজ জানা যায়,দেড় মাস আগে পাহাড়ী জমিতে রোপন করা গাছে এখন তরমুজ ঝুলছে।বর্তমানে প্রতিটি তরমুজের ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে ১৫০০ গ্রাম করে।পরিপক্ব একেকটি তরমুজের ওজন হবে সাড়ে ৩ থেকে ৪ কেজি।পৃথক পৃথকভাবে আগে-পরে রোপন করা হয়েছে তরমুজ।যাতে করে একসাথে তরমুজ বিক্রির উপযোগী না হয়।বারোমাসি কিছু তরমুজ লাগানো হয়েছে যার ভিতরের অংশ হলুদ।
মাসুদ হাসান সাংবাদিকদের জানান,চাকুরী থেকে অবসরে এসে পরিকল্পনা করে বারোমাসি হলুদ লেন ফিই এফ-১ জাতের তরমুজ চাষ শুরু করেন।প্রতি শতাংশ জমিতে এ ধরণের তরমুজ চাষ করতে হলে খরচ হয় ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা।তরমুজ পরিপক্ব হতে সময় লাগে ৫৫-৬০ দিন।এ ধরণের তরমুজের দাম প্রায় ৭০-৮০ টাকা কেজি।তার ৭ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষে খরচ হয়েছে ৫ লাখ টাকা।উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি হতে পারে ১২-১৩ লাখ টাকা।
সে হিসাবে প্রতি শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করে লাভ হতে পারে ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকা।প্রথম দিকে প্রায় দেড় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রিও করা হয়েছে।বাগানের শ্রমিক আবু বকর সিদ্দিক জানান,৭ বিঘা জমিতে ১২ জন শ্রমিক কাজ করছেন।মধুপুর বনে অসময়ে হলুদ তরমুজ এই প্রথম চাষ হচ্ছে।ফলনও ভালো হয়েছে।
স্থানীয় উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার জানান,মাসুদ হাসানকে আধুনিক তরমুজ চাষে উপজেলা অফিস থেকে পরামর্শ ও টেকেনিক্যাল সহযোগীতা করা হয়েছে।তাকে দেখে এলাকার অন্য কৃষকরাও তরমুজ চাষে উদ্যোগী হচ্ছেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম জানান,অসময়ে উচ্চ মূল্যের তরমুজ চাষে কৃষক লাভবান হয়।উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে যাতে আগামীতে অন্যন্য কৃষকরাও এ জাতীয় তরমুজ চাষে এগিয়ে আসে।