টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঠক ঠক শব্দেই যেন জানান দিচ্ছে আর কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস সাইজ করতে যেমন ছুরি, চাপাতি, দা-বটি অত্যাবশ্যকীয়। সেগুলো সংগ্রহ ও প্রস্তুত করে রাখতে এখন সবাই ব্যস্ত। আর এদিকে মাংসের পাশাপাশি হাঁড় কাটার জন্য যেমন কাঠের গুড়ি বা খাইটা দরকার সেসব খাইটা বানাতে ব্যাস্ত মধুপুরের রক্তি পাড়া গ্রামের খাইটা ব্যাবসায়ীগন।
পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জমে উঠে এ শিল্প। এসব খাইটা বানিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের সামনে। আর এসব কাঠের তৈরী খাইটা বানাতে শরীর থেকে ঝরছে অবিরাম ঘাম। চোখেমুখে প্রচণ্ড ক্লান্তির ছাপ, তবুও থেমে নেই তারা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি চলছে ব্যস্ততা।
উপজেলার রক্তিপাড়া গ্রামের খাইটা বব্যাবসায়ী রহিম, শরিফ বলেন, ‘এটা আমাদের পেশা। প্রতি ঈদকে সামনে রেখে আমরা গ্রামে গ্রামে গুরে গুরে তেতুল গাছ কিনে আমরা এসব খাইটা বানিয়ে থাকি। প্রতিটি খাইটা তৈরী করা পর্যস্ত আমাদের দুই তিন শত টাকা খরচ পড়ে। আর আমরা এসব খাইটা প্রকার ভেদে চার, পাঁচ শত টাকা করে বিক্রি করে থাকি।পাইকারী দোকানদার ও খুচরা ক্রেতাদের কাছে এই সময়ে আমাদের কদর বেশ ভালই থাকে।
তবে এখন করোনার প্রভাবে অন্যান্য বছরের চেয়ে কাজের চাপ একটু কম হলেও দিন দিন কাজের চাহিদা বাড়ছে। আগে এই সময়টা থেকেই চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হত। এখন আর তা হতে হচ্ছে না।