ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদরের টিএন্ডটি রোড সংলগ্ন ১৪ ই আগষ্ট একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে হোসনেয়ারা বেগম বকুল (৫৫) নামের এক বিধবা নারীর লাশ উদ্ধার করে রাজাপুর থানা পুলিশ।এ ঘটনায় ১৪ই আগষ্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং-৮।
থানা পুলিশ বিভিন্ন ফোর্স ও স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ১৮ই আগষ্ট শাকিল(৩৪) নামের এক মাদকাসক্ত যুবককে নারায়ণগঞ্জ সদরের ভুইয়াপাড়া এলাকা থেকে আটক করে।শাকিল দীর্ঘদিনধরে রাজাপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবার সহ বসবাস করত।আটকের পরেই বেড়ীয়ে আসে বকুল বেগমের খুনের কারন।মূলত স্বর্ণঅলংকারের লোভেই শাকিল খুন করে বকুল বেগমকে।
আটকের পরে শাকিলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ নারায়ণগঞ্জের নবাবপ্লাজা স্বর্ণের মার্কেট থেকে বকুল বেগমের ব্যবহারিত হাতের দুইটি স্বর্ণের বালা ও একটি আংটি উদ্ধার করে।আটককৃত শাকিলকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।রিমান্ডে পুলিশের কাছে খুনের দায় স্বীকার করে ঘাতক খুনি শাকিল।
আটককৃত শাকিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোপনগর বড়মসজিদ এলাকার মোঃশাহিন এর ছেলে।ঘাতক শাকিলের নামে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় ২০০৭ সালে একটি হত্যা মামলা সহ বিভিন্ন থানায় মাদক মামলাও রয়েছে।বকুল হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা রাজাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম জানান,ঘাতক শাকিল নিহত বকুল বেগমের পার্শবর্তী একটি বাড়ীতে তার ২য় স্ত্রী নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
তার ২য় স্ত্রী মনি বেগম দক্ষিণ রাজাপুর বলাইবাড়ী এলাকার মৃত কাঞ্চন ফরাজীর মেয়ে।ঢাকা নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টস এ চাকুরীর সুবাদে তাদের পরিচয় ও বিয়ে হয়েছিলো।সেই সুবাদে শাকিল রাজাপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করত।শাকিল নিহত বকুল বেগমকে খালা ডাকত এবং তাদের মধ্যে খুব ভাল শম্পর্ক ছিলো।শাকিলের অনেক টাকা দেনা ছিলো।
১৩ই আগষ্ট সন্ধার পরে শাকিল নিহত বকুল বেগমকে তার ঘড় ভাড়া নেয়ার জন্য ভাড়াটিয়ারা দেখতে এসেছে বলে ডেকে আনে এবং একটি কাঠের ঘরের বারান্দায় নিয়ে এসে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে।মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য চাকু দিয়ে গলায় একাধিক আঘাত করে স্বর্ণঅলংকারও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে নারায়ণগঞ্জে গিয়ে তা বিত্রিু করে দেয়।আমরা হত্যকান্ডে ব্যবহারিত চাকু ও ঘরের চাবি এবং স্বর্ণঅলংকার উদ্ধার করেছি।শাকিল বকুল বেগমকে মুলত স্বর্ণালংকারের লোভেই খুন করেছে।