1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
ঝালকাঠিতে মাথা গোঁজার ঠাইটুকু বাঁচাতে স্বামী পরিত্যক্তার আকুতি
বাংলাদেশ । শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঝালকাঠিতে মাথা গোঁজার ঠাইটুকু বাঁচাতে স্বামী পরিত্যক্তার আকুতি

কঞ্জনকান্তি চত্রুবতী:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০২২
  • ২৫০ বার পড়েছে

ঝালকাঠির রাজাপুরে স্বামী পরিত্যক্তা ৪ সন্তানের অসহায় জননী ছুফিয়া খাতুনের মাথা গোঁজার ঠাই না থাকায় সরকারি ভাবে বন্দবস্ত দলিল মূলে ৮ শতাংশ জমি তার নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়া হলেও মাথা গোঁজার ঠাই টুকু জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কেড়ে নিতে চাইছে একটি প্রভাবশালি মহল। এমন অভিযোগে রবিবার সকালে রাজাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার কানুদাসকাঠি এলাকার লাল মিয়া আকনের স্ত্রী ছুফিয়া খাতুন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি স্বামী পরিত্যক্তা ৪ সন্তানের জননী। স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ার পরে স্বামীর থেকে আমার এবং সন্তানদের ভরন পোষণের খরচ ও প্রাপ্য সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত হয়েছি। নিরুপায় হইয়া মাথা গোঁজার ঠাইয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ভুমিহীন সম্পত্তির জন্য আবেদন করলে ২০১২ সালে সরকারি ভাবে বন্দবস্ত দলিল মূলে ৮ শতাংশ জমি আমার নামে রেজিস্ট্রি করে সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করিয়া দেয় উপজেলা প্রসাশন। বন্দবস্ত দলিল মূলে আমার জমি ভোগদখল শুরু করা থেকেই প্রতিপক্ষ আমির হোসেন মাষ্টার, ফারুক সিকদার, আমির হোসেন হাং, সেকান্দর আলী, করিম হাং,নিরুল হাং, হারুন অর রশিদ ও তার স্ত্রী ফেরদৌসি আক্তার এবং মোকলেছ হাং আমি ও আমার ছেলেদের উপরে হামলা, মামলা, লুটপাট শুরু করে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ আমার জমি থেকে আনুমানিক ১ লক্ষ টাকার গাছ কেটে নিয়ে যায় তারা।

যাহার মামলা চীপ জুডিসিয়াল এ নন জিয়ার ৪১/২০(রাজা) চলমান। এরপরে প্রতিপক্ষরা একটি জাল কাগজ বানিয়ে ফেরদৌসি ও হারুনকে দিয়ে রাজাপুর সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেন যার নাম্বার-৪৯/২০। মামলা করে তারা আমার জমির উপরে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আনেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত তাদের কাগজ পত্রে অসংগতি দেখে আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন। তারপরে প্রতিপক্ষরা মোকাম ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতে মিস আপিল (নং-০১/২০২১) করেন। এই মামলায় জেতার জন্য প্রতিপক্ষরা জালজালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া দাগ, খতিয়ান ব্যবহার করে ।

আমার নাম ছুফিয়া খাতুন, আমার পিতার নাম ইমান উদ্দিন হাওলাদার, এবং আমার ননদের নাম ছুফিয়া বেগম ও তার বাবা এবং আমার শ্বশুরের নাম ইমান উদ্দিন আকন। নামের কিছুটা মিল থাকার কারনে আমির হোসেন মাস্টার ও ফারুক সিকদার আমার ননদের অজান্তে তার কাগজ ব্যবহার করে আমাকে তার জমির মালিক দেখিয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবর দরখাস্ত দিয়ে রাজাপুর সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবর তদন্তের ভার আনেন।

যাহাতে আমার সরকার থেকে পাওয়া জমিটির দলিল বাতিল হয়। আমার ছেলে ওবায়দুল আকন রনিতে তার দাদাী ও সৎ মা এবং সৎ মামা’রা কিছু জমি লিখে দেয়। কিন্তু সেই জমিটিও ফারুক সিকদার ও আমির হোসেন মাষ্টার দখল করে নেয়। আমার অসহায়ত্বের কথা আমি দেশেরত্ন মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী,উর্ধতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানাতে চাই। যাহাতে আমি এই খারাপ লোকদের হাত থেকে বাঁচতে পারি আর বাচাতে পারি আমার মাথা গোজার ঠাইটুকুকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD