1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
জামালপুরে ভূমি দস্যূদের দখল প্রতিযোগীতায় সূবর্ণখালী নদীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে
বাংলাদেশ । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ
ডাঃ তাহসীন বাহার সুচনার বিজয়ে কুমিল্লার লন্ডন প্রবাসীদের ইফতার ও মিষ্টি বিতরন এক মিনিটে ৮টি ক্রিম বিস্কুট খেয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এ আবেদন । বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন সাকিব আল হাসান অবরোধের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রলীগের মোটরসাইকেল শোডাউন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বিএনপি জামায়াতকে অগ্নি সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে নির্বাচনে আসার আহবান-এমপি বাহার হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনে  সৈয়দপুর পুলিশের সাফল্য, গ্রেফতার ৩ কুলাউড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সুপারের তদারকি জাপার সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ কুমিল্লায় হরতাল-অবরোধে ২২ পিকেটিং-ভাংচুর মামলা গ্রেফতার ১০৪

জামালপুরে ভূমি দস্যূদের দখল প্রতিযোগীতায় সূবর্ণখালী নদীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে

খলিলুর রহমান :
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৩৯৫ বার পড়েছে
জামালপুরে ভূমি দস্যূদের দখল প্রতিযোগীতায় সূবর্ণখালী নদীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে
জামালপুরে ভূমি দস্যূদের দখল প্রতিযোগীতায় সূবর্ণখালী নদীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে

খুব বেশি আগের কথা নয়,এই নদীতে সারা বছর নৌকা চলত,মালামাল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় এই নদী পথেই স্থানান্তর করা হতো,প্রচুর মাছ পাওয়া যেত,পানি টলটল করতো।কিন্তু বর্ষাকালে দুই-তিন মাস পানি থাকে।আর বাকি মাস গুলোতে পানি শুকিয়ে যায়।স্থানীয় লোকজন ধানের চারা রোপণ করেন।নয়তো কচুরিপানায় ভরে থাকে।

কিছুদিন যাবত লক্ষ্য করা যাচ্ছে-কোন কোন ভূমি মালিক কিংবা ভূমি রাক্ষসীরা এই নদীর পাড় দখল করে বসত বাড়ি নিমার্ণ করছেন।এতে সূর্বণাখালী নদী তার নাব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে।জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর শাখা সূবর্ণখালী নদী দেখিয়ে কথাগুলো বলছিলন-সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল আজিজ।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,১৯৫৫-৫৬ সালের দিকে সরিষাবাড়ী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের পশ্চিমাঞ্চল যমুনা নদীর কড়াল গ্রাসে বিলীন হয়ে যায়।১৯৬০-৬২ সালের দিকে যমুনা নদীর বুক চিরে বিশাল এলাকা জুরে আস্তে আস্তে পলি জমে চর জাগতে থাকে।১৯৬৫-৬৬ সালের দিকে জেগে উঠা চরে বসতি স্থাপন আরম্ভ হয়।যমুনা নদীর তীব্র ভাঙ্গনের ফলে মহান স্বাধীনতার প্রাক্কালে ১৯৬৯-৭০ সালের দিকে তখন নদীর গতি পথ পরিবর্তন হয়ে প্রায় ৮/৯ কিলোমিটার পশ্চিমে চলে যায়।

কিন্তু নদীর ক্ষতের চিহ্ন রয়ে যায়।নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে ১নং সাতপোয়া ইউপির ঝালপাড়া থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ হয়ে উত্তর দিকে কামরাবাদ ইউপির রেলি ব্রীজ হতে বাউসির পপুলার পশ্চিমে চলে আসে।যমুনা নদীর বুকে চর জেগে উঠার ফলে তীর ঘেষে খরস্রোত নদী রয়ে যায়।আর কালক্রমে সেই নদীর নাম করণ করা হয় সূবর্ণখালী।

এলাকাবাসী জানান,ঐতিহ্যবাহী সূবর্ণখালী নদীর একটা ইতিহাস আছে।সূবর্ণখালী নদীতে এক সময় বড় বড় পাটের নৌকা,ডিঙ্গী নৌকা,লঞ্চসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহণের জন্য পশ্চিমে বগুড়া,সিরাজগঞ্জ,কাজিপুর,মাদারগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য পানিপথে এই সূবর্ণখালী নদী দিয়ে চলাচল করা হতো।কিন্তু কতিপয় ভুমিদস্যূ দীর্ঘ দিন যাবৎ নদীর তীর দখল করে বসত বাড়ী নির্মাণসহ নানা ভাবে নদী ভরাট করে সংকুচিত করে ফেলছে।

এতে নদী এদিকে সংকুচিত হয়ে হারিয়ে ফেলছে তার সৌন্দর্য্য।সম্প্রতি এ.আর.এ জুট মিলস লিঃ এর বিক্রিত স্থানে ট্রলার দিয়েবালি এনে নদীর তীর দখল করে ভরাট করছে।নির্মান করা হচ্ছে বাসাবাড়ী।এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মনির উদ্দিন এর সাথেযোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি ফলাও করে পত্র পত্রিকা ও টিভিতে প্রচারের আহবান জানান।এ বিষয়ে মুঠো ফোনেজানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা বলেন,আমি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করছি বলে জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD