ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,জাফরুল্লাহ সাহেবের বয়স হয়ে গেছে।তিনি অত্যন্ত সম্মানিত লোক,জ্ঞানী-গুনি লোক।কিন্তু বয়স হয়ে গেলে মানুষ কিছু উল্টোপাল্টা কথা বলতেই পারেন।সোমবার(০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাস ভবনে সাংবাদিকদের সাথে এক সতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদে তারেক রহমানকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তা মন্তব্যটা যুক্তিসংগত না।তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন,কথা বলছেন।কিন্তু তিনি একবারও ভাবছেন না,এসব কথা বললে ফ্যাসিবাদী বিরোধী আন্দোলন কিছুটা ব্যাহত হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন,আমি তাঁকে(ডা.জাফরুল্লাহ) অনুরোধ জানাব,যে সমস্ত কথায় জনগণ বিভ্রান্ত হয় সেসব কথা যেন তিনি না বলেন।তারেক রহমানই হচ্ছে বিএনপির নেতা।তারেক রহমানই আমাদের সুসংগঠিত করছেন।পুরো দল তাঁর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে।
জিয়ার কবর নিয়ে অরাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করেছে সরকার এমনি মন্তব্য করে ফখরুল বলেন,জিয়ার কবর নিয়ে এখন কথা বলার কোনো মানেই হয় না।করোনার কারণে দেশে বেকারত্ব বেড়েছে,অনেক মানুষ কাজের অভাবে দিশেহারা।তার সঙ্গে ডেঙ্গুতে কতজন মানুষ মারা গেল।এসব থেকে উত্তরণের চিন্তা না করে সরকার জিয়ার কবর নিয়ে উঠে পড়ে-লেগেছে।
সরকার করোনা ও ডেঙ্গু মোকাবিলায় ব্যর্থ।জনগণের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ।এসব ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য জিয়ার কবর নিয়ে কুরুচিকর এবং অরাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করেছে সরকার।এই সরকারের ওপর এজন্যই মানুষের আস্থা নেই।স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলগতভাবে অংশগ্রহণের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন,বর্তমান নির্বাচন কমিশনারকে দেখলে মনে হয় তিনি একজন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা দেখেছি ভোটার উপস্থিতি নেই।কারণ বর্তমান সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ।বর্তমান সরকার তো ভোটবিহীন সরকার,তাই তারা চায় না এই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।দলের ঐক্য অটুট আছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন,তারেক রহমান বর্তমানে দলের সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন।পুরো দল তারেক রহমানের নির্দেশনায় কাজ করছে।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান,সহসভাপতি আল মামুন আলম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী ও আনসারুল হক,অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।