ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার চুন্টা বড়াইল পুর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল ফাঁকি দেবার অভিযোগ উঠেছে।এ ছাড়াও তিনি চুন্টা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওর্য়াডে গিয়ে কমিটি গঠন করছেন। শিক্ষক উপজেলার চুন্টা বড়াইল পুর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সরাইল চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক১ বর্তমানে তিনি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগে জানাযায়।
আবেদন কারি উপজেলা চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মৃত ওসমান গনির ছেলে, রফিকুল ইসলাম তিনি বলেন, বড়াইল পুর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম দীর্ঘদিন যাবৎ চুন্টা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ১ এর দায়িত্ব পালন করিয়া আসছে।
চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান সাহেব মারা যাওয়ার পুর্বে আবূল কালাম আজাদ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। আবেদনে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইতি পুর্বে জনাব আবুল কালাম আজাদ স্কুল ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন ওর্য়াডে গিয়ে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আমার জানামতে সরকারি চাকরী করে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদ বহন করিতে পারে না।
চুন্টা ইউনিয়নের বড়াইল গ্রামের হিরা মিয়া মাষ্টারের ছেলে। শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ মাষ্টারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আবেদন করেন রফিকুল ইসলাম।শিক্ষক আবুল কালাম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়মিত স্কুল করে না। সরাইল চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে বিভিন্ন কমিটি গঠন করেন। সরকারি চাকুরী করে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদ বহন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক এখন ভাইরাল।
শিক্ষকের স্কুল ফাঁকি দেবার ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে বড়াইল পুর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন,আমি ২০০৭ সালে চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক করে। সেই সময় স্কুল সরকারি ছিলনা।
২০১৩ সালে বড়াইল পুর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করণ করা হয়। এর আগে চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মৃত্যুবরণ হলে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে চুন্টা ইউনিয়ন ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আমার উপরে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পড়ে। উপজেলার নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্ত মতে উনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমি ওয়ার্ড কমিটি গুলো করা হয়েছে।
সরকারি চাকরি বিষয়ে শিক্ষক বলেন,আমি যেহেতু সরকারি চাকরি করি দলীয় কোন প্রার্থী হব না। চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আমির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আবুল কালাম আজাদ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকসহ আমরা মিলে ওয়ার্ড কমিটি গুলো করা হয়েছে, কোন অনিয়ম হয়নাই। তিনি জানান, সরকারি চাকরিজীবী যে রাজনীতি দল করতে পারে না এটা আমার জানা ছিল না।
সরাইল উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল আজিজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। তবে এ ধরনের ঘটনার সাথে ঐ শিক্ষক জরিত থাকার প্রমান মিললে সরকারী বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।