কুমিল্লায় চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের দায়ে কাউসার আহমেদ (৪১) নামের এক যুবকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর সিপিসি-২ এর দল।শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত কাউসার জেলার ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার দক্ষিণ তেতাভূমি (মোল্লা বাড়ি) গ্রামের মৃত আবদুল কাদেরের পুত্র।
র্যাব জানায়-কুমিল্লা জেলার ব্রাক্ষনপাড়া থানার দক্ষিন তেতাভূমি (মোল্লা বাড়ি) গ্রামের মৃতঃ আঃ কাদের এর ছেলে কাউছার আহমেদ (৪১) গত ১৮ জুন থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে একজন নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষন করে।পরবতীর্তে ধর্ষনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
উক্ত বিষয়টি নিয়ে ভিকটিম ২৪ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা র্যাব-১১,সিপিসি-২ এর নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করে।অভিযোগ দায়ের পর থেকে র্যাব কুমিল্লা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে।প্রাথমিক ভাবে জানতে পারে ভিকটিম একটি মোবাইল কোম্পানীতে চকুরীরত অবস্থায় কুমিল্লা সেনা মার্কেট এলাকায় ধর্ষকের সাথে তার পরিচয় হয়।পরিচয়ের সুবাধে ধর্ষক নিজেকে সেনাবহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর পরিচয় দেয়।
তাছাড়া ধর্ষক নিজেকে ফিলিপস ইলেকট্রনিক্সন বাংলাদেশ (প্রাঃ) লিঃ এর কান্ট্রি ম্যানেজার বলে পরিচয় দেয় এবং ভিকটিমকে উক্ত কোম্পানীতে অধিক বেতনে পিএস হিসেবে নিয়োগ দেয়।ফিলিপস কোম্পানীর কোন অফিস কুমিল্লাতে না থাকায় ধর্ষক ভিকটিমকে নিয়ে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে কোম্পানীর অফিস এর জন্য জায়গা খোজ করতে থাকে এবং তখন থেকেই কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে ভিকটিমকে ধর্ষন করে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১,সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল শনিবার (২৫ সেপ্টম্বর) গভীর রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল ধানাধীন নিশ্চিন্তপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।উক্ত অভিযানে ধর্ষক কাউছার আহমেদ (৪১) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন-ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃত ধর্ষক প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত নারীকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষনের ছবি ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি প্রাদান করার বিষয়টি স্বীকার করে।
এ বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।ধর্ষনের মতো সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।