চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে গরমে বাড়ছে চর্ম রোগী।। তিন দিনে প্রায় ১ হাজার রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান প্রচন্ড গরম আবহাওয়ার কারনে দাউদ, এ্যাকজিমা, ঘোস পাচড়া, সহ বিভিন্ন চর্ম জনিত রোগে আক্রান্ত চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে প্রচন্ড চর্ম রোগীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা গিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই হাসপাতালের আউটডোরে চর্ম চিকিৎসকের কক্ষের সামনে চর্ম রোগীদের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গত তিন দিনে প্রায় এক হাজারের মতো চর্ম রোগীরা চাঁদপুর সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে গত ১২ আগস্ট সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের আউটডোরের চর্ম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ হাসিনুর রহমান ও ডাঃ আব্দুল্লা আল মামুন এর কক্ষ থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ২৮৩ জন, ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৩৫৩ জন এবং ১৪ আগস্ট বুধবার সকাল থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ২৬০ জন চর্ম রোগী।
হিসেব করে দেখা গেছে গত তিন দিনে হাসপাতালের রেজিস্ট্রারকৃত টিকেট কেটে চর্ম চিকিৎসাসেবা নেয়া রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৮৯৬ জন। এছাড়াও টিকিটের বাহিরেও আরো অনেক রোগীকে তারা চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
চিকিৎসকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সৃজনে প্রচন্ড গরমের কারনে ছোট বড় বিভিন্ন বয়সীরা দাউদ, এ্যাকজিমা, ঘোস, পাচড়া সহ বিভিন্ন চর্মজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। যার কারনে গরম সৃজনে প্রায় প্রতিদিনই গড়ে ২,শ থেকে ৩,শ এমনকি অনেক সময় ৪,শ রোগী হয়ে থাকে। আর এসব রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়, চর্ম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্টদের। এমন ছোঁয়াছে চর্ম রোগ থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
এ বিষয়ে হাসপাতালের চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাঃ হাসিনুর রহমান বলেন, যেখানেজনসংখ্যা এবং জনবসতি বেশি সেখানেই এই ছোঁয়াছে চর্ম রোগ বেশি দেখা দেয়। যেমন মাদরাসা গুলোতে অনেক ছাত্ররা একসাথে থাকেন, জেলখানায়ও অনেকে আসামীরা একসাথে থাকতে হয়। এছাড়া একই পরিবারে অনেক সদস্য সংখ্যা থাকে। তাদের মধ্যে কোন একজন এসব চর্ম রোগে আক্রান্ত হলে। অন্যদেরও চিকিৎসাসেবা সেবা নেয়া প্রয়োজন। নয়তো আক্রান্ত একজন ব্যক্তি থেকেই এই ছোঁয়াছে রোগটি পর্যায়ক্রমে সকলের শরীরে দেখা দেয়। এজন্য যে কোন পরিবারে কেউ একজন চর্ম জনিত রোগে আক্রান্ত হলে সবাইকে চিকিৎসাসেবা নেয়া প্রয়োজন।