চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রস্ততকৃত ৫১ লাখ ৬০ হাজার মিলিলিটারের লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু হচ্ছে আগামী ৩ আগস্ট। আজ ১ আগস্ট রোববার চাঁদপুরে এসে পৌছবে লিকুইড অক্সিজেন। তারপর সেই লিকুইড অক্সিজেন স্প্রেক্টা কোম্পানির স্থাপনকৃত ট্যাংকিতে লোড করা হবে। এরপর দুই দিন তা পর্যবেক্ষন করে ৩ আগস্ট সেটি আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। আর এই লিকুইয়েড অক্সিজেন প্লান্টটি চালু হলে অক্সিজেন সংকট থেকে মুক্তি পাবে হাসপাতালের রোগীরা।
অক্সিজেন প্লান্টটি উদ্বোধনের লক্ষ্যে ৩১ জুলাই শনিবার বিকেলে ইউনাইটেড ন্যাশন ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন্স ইমার্জেন্সি ফান্ড (ইউনিসেফ) সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার তৌকির আহমেদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সাক্ষাত করেছেন। এসময় সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল ও মেডিকেল অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান সহ অন্যান্য চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গত এক দেড় মাস পূর্বে এ অক্সিজেন প্ল্যান্টটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অল্প কিছু কাজ এবং লিকুইড অক্সিজেনের জন্য এতদিন সেটি চালু করা সম্ভব হয়নি। ১ আগস্ট রোববার দিন সকালে লিকুইড অক্সিজেন চাঁদপুরে আসলে তা লোড করার পর, পরীক্ষামুলকভাবে দুইদিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর আগামী ৩ আগস্ট থেকে রোগীদের জন্য এই লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। এটি চালু হলেই যে কোন সময় লিকুইড অক্সিজেন সেবা পাবে করোনা রোগীসহ অন্যান্য রোগীরা।
খবর নিয়ে জানাগেছে গত ৩/৪ মাস পূর্বে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ৫১ লাখ ৬০ হাজার মিলিলিটারের লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাজ শুরু করা হয়। শ্রমিকরা গত দুই আড়াই মাস ধরে টানা কাজ করেছেন। লিকুইড অক্সিজেন স্থাপনের ভবন এবং অক্সিজেন সংরক্ষন করার ট্যাংকির কাজও সম্পন্ন করা হয়। একই সাথে বেকওয়াম প্লান, কমরেষ্ট ইয়ার প্লান ও অটোমেটিক মেনিহোল কন্ট্রোল বোর্ডসহ অক্সিজেন প্লান্টের যত প্রকার কাজ রয়েছে তা এক দেড় মাস পূর্বেই সম্পন্ন করা হয়।
পূর্বে থেকে বর্তমানে সময়ে চাঁদপুরে করোনা ভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকি থাকায় । এতে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, কুমিল্লা থেকে প্রায় প্রতিদিনই চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন আনতে অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের । যার কারণে চাঁদপুরেই স্থাপন করা হয়েছে এই লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট।২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্ল্যান্টটি বসানোর কাজে অর্থায়ন করছে ইউনাইটেড ন্যাশন ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন্স ইমার্জেন্সি ফান্ড (ইউনিসেফ) এবং বাস্তবায়ন করছে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এমও) ডাক্তার সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, শনিবার বিকেলে ইউনিসেফের প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার তৌকির আহমেদ আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন রোববার দিন লিকুইড অক্সিজেন আসলে তা টাংকিতে লোড করা হবে। এবং দু’দিন তা পর্যবেক্ষণের পর আমাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তা হ্যান্ডওভার করে, আগামী ৩ আগস্ট এটি সম্পূর্ণভাবে চালু করা হবে। আর এটি চালু হলেই অক্সিজেন সেবা পাবে হাসপাতালের রোগীরা।