চাঁদপুরে সরকার ঘোষিত কঠিন লকডাউনে মামলা এবং অর্থদন্ড করেও থামানো যাচ্ছেনা সাধারণ মানুষ।লকডাউনের প্রথম থেকে ৭ম দিন বুধবার পর্যন্ত চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন,সেনাবাহিনী,বিজিবি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগন সার্বক্ষণিক মাঠে থাকলেও এই কঠিন নজরদারিকে উপেক্ষা করে নানা অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
এতে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি ও বাড়ছে দিন দিন।প্রতিদিনই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিটে (আইসোলেশন ওয়ার্ডে) বাড়ছে ভর্তি রোগীর সংখ্যা।করোনা সনাক্তের জন্য প্রতিদিনই জমা পড়ছে রোগীদের স্যাম্পল।আর তাতে সনাক্ত হচ্ছে একাধিক করোনা রোগী।গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে সরোজমিনে দেখা গেছে,একদিকে প্রশাসন সাধারণ মানুষকে ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
অন্যদিকে বিনা কারণেই মানুষজন রাস্তায় হাঁটা চলা করছেন।এসব সাধারন জনগনের প্রশাসনকে দেখলেই তারা চোর-পুলিশ খেলায় মেতে গা ঢাকা দিয়ে নিজেদেরকে রক্ষা করেন।আবার কেউ কেউ প্রশাসনের সম্মুখীন হলে নানা অজুহাত দেখিয়ে অনুনয় বিনয় করে সেখান থেকে কেটে পড়ছেন।এছাড়াও সরকার ঘোষিত এই কঠোর লকডাউনে পুলিশ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রিক্সার পাশাপাশি ফাঁকে ফাঁকে অন্যান্য যানবাহন চলতে দেখা গেছে।
আবার কেউ কেউ বলছেন,হাসপাতালে রোগী ভর্তি কিংবা তাদের পরিবারের সজন অসুস্থ এমন মিথ্যা অজুহাতে মার্কেটের উদ্দেশ্যে শহরে বের হচ্ছেন অনেকে।এদিকে চাঁদপুরে চলমান এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন,পুলিশ বিভাগ এবং উপজেলা প্রশাসন একযোগে কাজ করছে।
তাদের সহযোগীতা মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনী,বিজিবি,আর্ম পুলিশ ও আনসার ব্যাটেলিয়ন সদস্যরা।প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।এতে অনেককেই মামলা করে অর্থদন্ড আদায় করা হয়েছে।চলমান লকডাউনের ৬ দিনে মঙ্গলবার পর্যন্ত চাঁদপুরে সর্বমোট ৭৮৪টি মামলা করা হয়েছে।
এতে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৬ লাখ ২৭ হাজার ১৭০টাকা।লকডাউন বাস্তবায়নে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের এমন মোবাইলকোর্ট নিয়মিত অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।কিন্তু চাঁদপুরে করোনা সংক্রমনের এমন ঝুঁকির মধ্যেও নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অধিকাংশ সাধারণ মানুষ।তারা প্রশাসনের এমন কঠিন নজরদারীকে উপেক্ষা করেও নানা অযুহাত বাহিরে বের হচ্ছে।এতে করে করোনা চাঁদপুরে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকিও থেকে যাচ্ছে।