সড়ক বিভাগের উপর অবৈধ স্থাপনাগুলো অবিলম্বে উচ্ছেদ করতে হবে
অঞ্জনা খান মজলিশ চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ এপ্রিল রোববার সকাল ১১টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইমতিয়াজ হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, পৌরসভার মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল, সিভিল সার্জন ডা. শাহাদাৎ হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সাবেক জেলা কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন প্রমূখ।সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, আমি মনে করি একটি স্বার্থক ও কার্যকরী সভা সম্পন্ন হয়েছে। অনেকগুলো সিদ্ধান্ত আজকে নেয়ে হয়েছে আগামীতে সেসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট যার যে কাজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তারা যেন সেসব কাজ পরবচালনা করতে মনিটরিং করেন। তাদের কাজের মাধ্যমে চাঁদপুরবাসীর যেন উপকার হয়, এই মানসিকতা নিয়ে কাজ করার অনুরোধ জানাই। বিদ্যুৎ এর স্থাপনা গুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। রোজাদার যেন কষ্ট না হয় সেদিক খেয়াল রাখবেন। ইফতার তারাবি ও সাহরির সময় যেন বিদ্যুৎ এর ঘাটতি না হয়।জেলা প্রশাসক বলেন, পরিকল্পনা করতে সবকিছু বুঝে। অবাস্তব পরিকল্পনা করে কোন লাভ হবে না। যাদের জন্যে ঘর করলাম চরে, তারাতো সেই চরে যাবে না। মানুষের শুধু ঘর থাকলেতো হবে না। তাদের খাওয়া-দাওয়া, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এখন যাকে ঘর দিলাম সে যদি কর্মসংস্থানের জন্যে নদী পার হয়ে আসতে হয় তাহলে তো সে চরে গিয়ে থাকবে না। এজন্য আমাদের বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এজন্যে এখন আমরা বুঝে শুনে আশ্রয়ীদের এবং গৃহহীনদে ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। আমরা কোন চরের মধ্যে প্রস্তাব দিচ্ছি না। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখতে পেয়েছি ঘর তৈরি করার পর মানুষজন থাকছে না, আশ্রয়ন প্রকল্পগুলো নষ্ট হচ্ছে। আমি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানাবো চরে, নদীর কাছাকাছি বা যেসব এলাকা ভাঙ্গন সম্ভবনা, সেসব এলাকাতে ঘরের জন্যে প্রস্তাব দিবেন না।সস্প্রতি ডায়রিয়া জনিত রেগ সস্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, বাসার রিজার্ভ ট্যাংক যেন পরিস্কার করা এবং পানি ফুটিয়ে খাওয়ার ব্যাপারে মাইকিং করতে হবে। এছাড়াও যাদের ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদের ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের রিজার্ভ ট্যাংকের পানি পরিক্ষা করতে হবে।সড়ক বিভাগ সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, চাঁদপুর সড়ক বিভাগের অধীনে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কার করা হবে। সড়ক বিভাগের উপর যে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তা অবিলম্বে উচ্ছেদ করতে হবে।এসময় সকল দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ এপ্রিল রোববার সকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইমতিয়াজ হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, পৌরসভার মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল, সিভিল সার্জন ডা. শাহাদাৎ হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সাবেক জেলা কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, প্রেসক্লাব সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন মিলন প্রমূখ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় ৪ নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাার সাথে স্মরণ করে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, তাঁদের নেতৃত্বে ও আত্মত্যাগে আমাদের এই স্বাধীনতা। আপনারা জানেন ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়েছিলো, ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে সে কাজটি শুরু করে। এই আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পরিচালনার সমুন্নিতভাবে গঠন করা সম্ভব হয়৷ বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ নামক একটি দেশ এবং এদেশের আইনানুগ সরকার আছে সেটি প্রচারিত হয়।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এইদিনে সরকারে পক্ষ থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলন শেষে আকাশবাণীতে প্রচার হওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে সবাই জানতে পারে বাংলাদেশের সরকার গঠন হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আপামর জনতা মুক্তিযুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঝাপিয়ে পরে এবং দেশটি তাঁদের নেতৃত্বে স্বাধীন হয়। তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তাদের জন্যে আমরা এই সুন্দর একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। ১৭ এপ্রিল আমাদের জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। মুজিবনগর সরকার আমাদের দেশের জন্যে যা করেছিলো তা আমাদের সবার তুলে ধরতে হবে।