1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
চাঁদপুরে চাঁদা দাবি করে কবরস্থানের নির্মান কাজে বাঁধা
বাংলাদেশ । শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

চাঁদপুরে চাঁদা দাবি করে কবরস্থানের নির্মান কাজে বাঁধা

কবির হোসেন মিজি :
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১
  • ২৬৪ বার পড়েছে
চাঁদপুরে চাঁদা দাবি করে কবরস্থানের নির্মান কাজে বাঁধা
চাঁদপুরে চাঁদা দাবি করে কবরস্থানের নির্মান কাজে বাঁধা

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮ নং বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর গ্রামে রণি গাজী নামের এক যুবক চাঁদা দাবি করে কবরস্থানের নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এমন বাঁধার কারনে বন্ধ রয়েছে কবরস্থানের উন্নয়ন মূলক নির্মান কাজ।এমন স্পর্শকাতর ঘটনাটি ঘটেছে নানুপুর গ্রামের গাজী বাড়িতে (শহীদ কমান্ডারের বাড়ি)।

ওই বাড়ির জাহাঙ্গীর গাজী জানায়,তার বড় ভাই মৃত হালিম গাজি চলতি বছরের ১৬ জুলাই ( গত ৪ মাস পূর্বে) মারা যায়।মৃত্যুর আগে তিনি ১ কোটি, ৯৫ লাখ টাকা ব্যাংক একাউন্ট রেখে মারা যান।আর ওই টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা পারিবারিক কবরস্থান নির্মাণ,মিলাদ ও দোয়া,এবং ইজমালি কাজে ব্যয় করার জন্য আলাদা রেখে বাকি টাকা পারিবারিক ভাবে ভাগ ভোটোয়ারা করা হয়।

তিনি জানান,সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত কয়েকমাস পূর্বে তার মেঝো ভাই আবদুল হাই ও তার ভাগিনা মানিক বেপারীসহ পারিবারিক কবরস্থানের উন্নয়ন মুলক কাজ এবং ইজমালি জমি ভরাট করেন।এছাড়াও মৃত ব্যক্তির নামে মিলাদ বাবদসহ সব মিলিয়ে ১৬ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়।বাকি টাকা দিয়েই কাজের দায়িত্বে থাকা আব্দুল হাই ও তার ভাগিনা মানিক কবরস্থানের দেয়াল ও গেইটে টাইলস বসানোর কাজ শুরু করেন।

কিন্তু গত ৩ নভেম্বর তারা টাইলস মিস্ত্রি দিয়ে কবরস্থানের গেইটে ও দেয়ালে টাইলসের কাজ করাতে গেলে মৃত হালিম গাজীর পুত্র শামীম হাসান রনি গাজী বিভিন্ন অজুহাতে কাজের হিসেব চেয়ে এবং চাঁদা দাবি করে সে কাজ বন্ধ করে দেন।এমন পরিস্থিতিতে তার বিভিন্ন আত্মীয়স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশীরা তাকে অনেক বুঝালেও রনি গাজী তাদেরকে কোন ভাবেই কাজ করতে দেননি।

এতে করে টাইলস বসানোর অনেক বালি,সিমেন্ট,টাইলস বসানোর অনেক মসলা নষ্ট হয়ে যায়।যার কারনে অনেক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে তারা জানান।এ বিষয়ে শামীম হাসান রনি গাজীর ফুফাতো ভাই মানিক বেপারী জানান,আমার মামা মৃত হালিম গাজীর রেখে যাওয়া টাকা থেকে পারিবারিক ভাবে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ লাখ টাকা কবরস্থান মিলাদ এবং এজমালি কাজে ব্যয়ের জন্য আলাদা ভাবে রাখা হয়।

পরবর্তীতে আমার মেঝো মামা এবং আমিসহ এজমালি জমি ভরাট,কবরস্থানের নির্মাণ কাজ এবং মিলাদের কাজে ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করি।কিন্তু আমার মামাতো ভাই শামীম হাসান রনি গাজী এনিয়ে পারিবারিকভাবে বিভিন্ন ঝামেলা করার কারনে আমি গত ১৯ অক্টোবর চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।

পরে থানার এস আই হালিম অন্যান্যরাসহ থানায় বসলে আমি প্রত্যেকটি কাজের রশিদসহ তাকে হিসেব বুঝিয়ে দেই।কিন্তু তারপরও আমার মামাতো ভাই রণি গাজী গত ৩ নভেম্বর কবরস্থানের টাইলসের কাজ করাতে গেলে সে চাঁদা দাবি করে কাজ বন্ধ করে দেন।এমন ঘৃনিত কাজের জন্য তার বিরুদ্ধে আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শামীম হাসান রনি গাজীর সাথে কথা বলতে গেলে রণির স্ত্রী মিশু বেগম,সাংবাদিকদের সাথে অশালীন আচরণ করেন এবং তিনি বাসায় নেই বলে উত্তেজিত হয়ে তারা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD