চাঁদপুরে ঈদ পরবর্তী লকডাউনের তৃতীয় দিনেও কঠোর অবস্থানে রয়েছে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাঠে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা।লকডাউনে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করা এবং ভোক্তা অধিকার আইন লঙ্ঘন করে যারা বাহিরে বের হচ্ছে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মামলা দিয়ে অর্থদণ্ড আদায় করা হচ্ছে।
লকডাউনের তৃতীয় দিনেও চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত করা হয়।২৫ জুলাই রোববার সকাল থেকে চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি শপথ চত্বর এলাকা, পালবাজার গেট, বাস স্ট্যান্ড, চেয়ারম্যান ঘাটা, ওয়ারলেস বাবুরহাট সহ বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গন। এতে যারা লকডাউন অমান্য করে বিনা কারণে বাইরে বের হয়েছে এবং যারা দোকানপাট খোলা রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ও দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারায় মামলা করা হয়।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাঁদপুর সদর সার্কেল আসিফ মহিউদ্দিন, চাঁদপুর মডেল থানার (ভারপ্রাপ্ত) অফিসার ইনচার্জ সুজন কান্তি বড়ুয়া সহ পুলিশ সদস্যরা শহরের কালিবাড়ি মোড়, পাল বাজার, বাস স্টেশন, ওয়্যাররলেছ মোড়, বাবুরহাট এলাকায় চেক পোস্ট বসিয়ে লকডাউনে নিষিদ্ধ যানবাহনের উপর কড়া নজরদারি করেন এবং মোটর সাইকেলের উপর অভিযান পরিচালনা করেন।
যারা বিনা কারণে বাসা থেকে সড়কে বের হয়েছে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। শুধু তাই নয় সিএনজি স্কুটার, ব্যাটারী চালিত অটোবাইক একই রিক্সায় একাধিক যাত্রী যাতে চরতে না পারে তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।এছাড় লকডাউনের প্রথম এবং দ্বিতীয় দিনেও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চাঁদপুর শহরের বাস স্ট্যান্ড, চেয়ারম্যান ঘাটা ওয়ারলেস এবং শহরতলীর বাবুরহাট মহামায়া ও মঠখোলা এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
এসময় লকডাউন অমান্য করে যারা বিনা কারণে বাইরে বের হয়েছে তাদেরকে আলাদা আলাদাভাবে মামলা দিয়ে অর্থদন্ড আদায় করা হয়েছে।
চাঁদপুরে এই কঠোর লকডাউন চলমান পরিস্থিতিতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এই মোবাইল কোর্ট নিয়মিত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।