বাংলাদেশের সোনালী আঁশ,পাট সংগ্রহে ব্যস্ত চাঁদপুরের কৃষক-কৃষানীরা।প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে গ্রাম অঞ্চলে এ পাট সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত থাকেন কৃষকরা।এসব কাঁচা পাট দীর্ঘদিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে তা পঁচে যাওয়ার পর গাছ থেকে সোনালী আঁশ পাট সংগ্রহ করেন তারা।তারপর সেগুলো পানিতে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে বাজারে বিক্রি করা হয়।
গত দু,তিন বছর ধরে পাটের মূল্য কমে যাওয়ায় পাট চাষের প্রতি অনেকটা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন কৃষকরা।তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর পাটের মুল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।দুই বছর পূর্বে ১মন পাটের মূল্য ১৩ থেকে ১৪শ টাকা হলেও এ বছর ১ মণ পাটের দাম ২৮শ থেকে ৩ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে কয়েকজন পাট চাষী জানান।
চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ও সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে গত কয়েক দিন ধরে ঘুরে দেখা যায় নারী-পুরুষ মিলে রাস্তার পাশে বসে কিংবা বাড়ির উঠোনে বসে পচা গাছ থেকে পাট সংগ্রহ করছেন।কয়জন কৃষক-কৃষানীর সাথে আলাপকালে তারা জানান,তারা দুই জাতের পাট গাছ চাষ করে থাকেন।একটি হচ্ছে বগি পাট,অন্যটি সুতি পাট।
এ দুই ধরনের পাটই বেশি চাষ হয়ে থাকে বলে তারা জানান।এক সময়ে দেশের প্রধান অর্থকারী ফসল সোঁনালী আঁশ হিসাবে খ্যাত ছিলো এ পরিবেশ বান্ধব পাটের চাষ।কৃষকরা এ পাট চাষ করে একসময় দেশের সীমানা ছাড়িয়ে অনেক বিদেশী অর্থ উপার্জন করতো।এজন্যে বাংলাদেশে পাট চাষের প্রতি কৃষকদের অনেক আগ্রহ ছিলো।
কিন্তু আগের তুলনায় এখন কৃষকরা যেনো পাট চাষের প্রতি দিন দিন অনেকটা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।এর কারণ হলো আগে পাটের যে মূল্য ছিলো এখন আর সে মূল্য পাওয়া যায়নি।আগে একমন পাট বিক্রি হতো ১৭ থেকে ১৮শ টাকা।কিন্তু কয়েক বছর ধরে এসব পাটের একমন পাট ১২শ থেকে ১৩ টাকা বিক্রি হয়ছে বলে কৃষকরা জানায়।
তবুও এটি আজো বাংলাদেশের সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত।আর এই সোনালী আঁশ সংগ্রহ করতে পেরে কৃষকদের মুখেও হাসি ফুটে উঠছে।