আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন জায়গা হতে আসা জরুরী রোগীরা সরকারী এ্যাম্বুলেন্স সেবা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীরা।ফলে বাধ্য হয়ে রোগীর আত্মীয় স্বজনকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বাইরে থেকে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রোগী নিয়ে যেতে হচ্ছে।
সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজন ভুক্তভোগী মোহাম্মদ ঈসমাইল জানান,আজকে আমার ভাতিজিতে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।সেখানে যাওয়ার জন্য সরকারী এ্যাম্বুলেন্স চাইলে না পাওয়াই বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স নিতে হয়েছে।
কারণ আমাদের আগে রোগী বাঁচাতে হচ্ছে।হাসপাতালে আগত সকল রোগীদের অভিযোগ কেউ সরকারী এ্যাম্বুলেন্স সেবা পাচ্ছে না।জানা যায়,আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেজে দুইটি সরকারি এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।তারমধ্যে একটি পুরাতন আরেকটি নতুন।দুইটি এ্যাম্বুলেন্স থেকেও রোগীরা কেন সেবা পাচ্ছে না তা নিয়ে সরেজমিনে খোঁজ নিতে গেলে বেরিয়ে আসে চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালক এ্যাম্বুলেন্স চালাবে না।তিনি চলে নিজের ইচ্ছে মতো।ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেকে রোগীদের সেবা পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান,এই হাসপাতালের চালক কারো কথা শুনে না।কেউ যদি তাকে রোগী নিতে প্লেসার সৃষ্টি করে তখন তিনি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বিভিন্ন রকম অসংগতিপূর্ণ কথা বার্তা বলে।
বর্তমান চালক অতীতে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিল।তার বিভিন্ন অনিয়মের কারণে থাকে এখান থেকে বদলি করা হয়।বর্তমানে তিনি আবারো বদলি হয়ে এসে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না।অতীত চালকরা প্রতি মাসে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেফার করা ১০৫ জন পর্যন্ত জরুরী রোগীদের চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার রেকর্ড রয়েছে।
কিন্তু বর্তমান চালক গত মাসে নিয়েছে শুধুমাত্র ৩৪ জন।আগটের ৫ তারিখ যোগদান করে সেপ্টেম্বর ৫ তারিখ থেকে কোন রোগী নিচ্ছে না বর্তমান চালক।ফলে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন জানান,এ বিষয়ে সিভিল সার্জন স্যারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।