চট্টগ্রামের আনোয়ারায় টিকা গ্রহীতার মাঝে এসএমএস বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই।টিকার রেজিস্ট্রেশন করেও এসএমএস পাওয়া মানে যেন এখানকার মানুষের জন্য সোনার হরিণ।দীর্ঘদিন ধরে এসএমএস না পাওয়ায় দীর্ঘ হচ্ছে টিকা নিতে আগ্রহী অপেক্ষামানদের তালিকা।এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে প্রবাসীরা।সেই সাথে এসএমএস নিয়ে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছে প্রবাসীরা।
সাম্প্রতিক গণটিকার পর থেকে আনোয়ারায় মানুষের মধ্যে বেড়েছে টিকা নেওয়ার আগ্রহ।কিন্তুু নিবন্ধনের পরও এসএমএস না পেয়ে অনেকেই হতাশ হচ্ছেন।আবার অনেকেই জানালেন নিবন্ধনের প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও এসএমএস পাচ্ছেন না।আদৌ টিকা কখন পাবে তার কোন সুদত্তর নেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে।যার ফলে টিকা নিয়ে প্রবাসী ও টিকা গ্রহীতাদের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বিগ্নতা।
এসএমএস জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিনই ঘুরছেন টিকা কেন্দ্রে।তাতেও কোনো লাভ হচ্ছে না।বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন প্রবাসী ও অধিকতর ঝুঁকিতে যারা আছেন তারা।টিকার এসএমএস বিড়ম্বনায় অনেকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও টিকা কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তুলেছে অভিযোগ।
জাহাঙ্গীর আলম নামে এক প্রবাসী অভিযোগ করে বলেন,এক মাস থেকে বেশি হলো রেজিস্ট্রেশন করছি এসএমএস পাচ্ছি না অথচ মেডিকেলে এসে দেখি অনেকে সাথে সাথে এসএমএস পাচ্ছে।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হেল্প লাইনে ফোন করলে বলে পর্যাপ্ত টিকা নাই।
হাসপাতাল সূত্র জানা যায়,আনোয়ারায় এপর্যন্ত প্রথম সিনোফার্ম প্রথম ডোজ নিয়েছে ২০৮৩৭ জন।দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ১২৫৮২জন।অপর দিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ নিয়েছে ১২৭১৫জন।দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ১১৬৩৫জন।তার মধ্যে প্রবাসীদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে প্রথম ১৩৭৪জন।
বর্তমানে আনোয়ারায় নিবন্ধন করে এসএমএসের অপেক্ষায় আছে ৫২৪১৪ জন।স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ও এসএমএস বিড়ম্বনার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন গণমাধ্যমে কথা বলতে অপরাগতা জানান।