দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে অবশেষে হামিদ হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে গত শনিবার (১৫ জানুয়ারী) রাতে ঘোড়াঘাট থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় রাতেই থানা পুলিশ আব্দুল হামিদের জামাতা ১ নং আসামী হায়দার নগর গ্রামের মৃত তছির ইসলামের পুত্র হাজিরুল ইসলাম (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে।
গত ৩ ডিসেম্বর শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় উপজেলার কশিগাড়ী গ্রামের আফসারাবাদ কলোনী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ একই দিনে সন্ধ্যায় আব্দুল হামিদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে একটি ইউডি মামলা রুজু করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ৬ ডিসেম্বর সোমবার আব্দুল হামিদের ছোট ভাই আব্দুর রহিম বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ঘোড়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলার এজাহার দাখিল করেন। বাদী তার এহাজারে আব্দুল হামিদের স্ত্রী জাহানারা বেগম(৫০), পুত্র সাদ্দাম হোসেন(৩৫), কন্যা কেয়া বেগম, জামাতা হাজিরুল ইসলাম, শ্যালিকা ফাতেমা বেগম(৪৫) ও পুত্রবধু আয়েশা বেগম কে অভিযুক্ত করে একটি এজাহার দাখিল করেছিলেন।
জানা গেছে, কশিগাড়ী গ্রামের আফসারাবাদ কলোনী এলাকার মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হামিদ রানীগঞ্জ বাজারে হানিফ এন্টার প্রাইজের একজন কাউন্টার মাষ্টার ছিলেন। তাকে তার ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে জমাজমি বাড়ীঘর লিখে নেওয়ার পরও নির্যাতন চালাতে থাকে। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজন একাধিক বার বৈঠক করেন। এতেও তারা ক্ষান্ত না হয়ে একই ভাবে তার উপর নির্যাতন চালাতে থাকে।
এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হাসান কবির জানান, ঘটনার দিন স্থানীয় ৭৫ ভাগ লোক আব্দুল হামিদকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেন এমন স্বাক্ষ্য দেওয়া সহ সুষ্ঠ বিচার দাবি করায় প্রথমে একটিইউডি মামলা করা হয়েছিল। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর আত্মহত্যার প্ররোচনায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।