বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে ফেরি সার্ভিস চালুর নামে ১৪৫ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় ও লুটপাটের সাথে জড়িতদের বিচার ও ব্রহ্মপুত্র সেতু বাস্তবায়নের দাবিতে গতকাল সোমবার গাইবান্ধা নাগরিক মঞ্চের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এতে গাইবান্ধার বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও বালাসীঘাট এলাকার জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
বালাসীঘাট সড়কে নাগরিক মঞ্চের সিনিয়র সদস্য ওয়াজিউর রহমান রাফেলের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ,জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মারুফ মনা,নাগরিক মঞ্চের সদস্য সচিব অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু,ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ,
গণফোরামের সভাপতি ময়নুল ইসলাম রাজা,গাইবান্ধা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মকসুদার রহমান শাহান,প্রবীণ সাংবাদিক এসকে মজিদ মুকুল,ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি প্রণব চৌধুরী খোকন,কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি মোস্তফা মনিরুজ্জামান,সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা আহবায়ক অ্যাড. নওশাদুজ্জামান,কঞ্চিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান লিটন মিয়া,
বাসদ (মার্কসবাদী)র কাজী আবু রাহেন শফিউল্যাহ,সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবীর তনু,ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)র মৃণাল কান্তি বর্মণ,সাংবাদিক হেদায়েতুল ইসলাম বাবু,মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলি রানী দেবী,যুব ইউনিয়ন নেতা রানু সরকার,মেহেদী হাসান বাবু প্রমুখ।সমাবেশ পরিচালনা করেন সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সদস্য সচিব মনজুর আলম মিঠু।
বক্তারা বলেন বালাসিঘাট থেকে বাহাদুরাবাদঘাট পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য বিআইডাব্লিউটিএ ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টার্মিনালসহ অবকাঠামো নির্মাণ করেছে।কিন্তু সম্প্রতি বিআইডাব্লিউটিএর এক প্রতিবেদনে এই পথে আর ফেরি চালু করা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করা হয়।সম্ভাব্যতা যাচাই বাছাই ছাড়াই প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় এই ফেরি রুটটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।
বক্তারা প্রশ্ন তোলেন,এর জন্য দায়ী কে,কার বা কাদের স্বার্থে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল ? বক্তারা এই বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি ও দুর্নীতির উৎস খুঁজে বের করে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান।তারা বালাসিতে ব্রহ্মপুত্র সেতু বাস্তবায়নের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।