গাইবান্ধা জেলা শহরের রাস্তায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচএম আশিকুর রহমান রকি (২২) হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী কাঞ্চনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় কাঞ্চনের জেলা শহরের পূর্বপাড়ার বাড়িতে আগুন দেয়া হলে কাঞ্চনের একটি ব্যক্তিগত অফিস ও একটি থাকার ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
এদিকে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডে কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে,হত্যার ঘটনার পর কাঞ্চন এবং তার পরিবারের লোকজন রোববার রাতেই বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।বিক্ষুব্ধ লোকজন বাড়িতে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং দুটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ এনামুল হক জানান, প্রথমে বিক্ষুব্ধ লোকজন তাদের আগুন নিভাতে বাধা দেয়।পরে পুলিশের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহফুজার রহমান জানান,রকি হত্যা মামলার প্রধান আসামী শহরের পূর্বপাড়ার নবাব আলীর ছেলে কাঞ্চনের বাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,আশিকুর রহমান রকি রোববার রাতে শহরের পুরাতন বাজার এলাকার ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে সোহেল ও প্লাবনকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়ার দিকে যাচ্ছিল।এসময় পথিমধ্যে শহরের পূর্বপাড়ার হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরী সংলগ্ন রাস্তার মোড়ে পৌঁছলে পূর্ব থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা পূর্বপাড়ার নবাব আলীর ছেলে কাঞ্চন ও তার সহযোগীরা রকির উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এব্যাপারে নিহত রকির বড় ভাই আতিকুর রহমান সরকার সোমবার বাদি হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় কাঞ্চনকে প্রধান আসামী এবং ৩ জনের নামসহ আরও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।