গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পরকীয়ায় জড়িয়ে অনৈতিক কাজে জনতার হাতে আটক এক শিক্ষক ও এক গৃহবধূকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আটক আরবী শিক্ষক ডুমুরগাছা গ্রামের আ.রহিমের ছেলে রুবেল মিয়া (২৮) ও নারী ৩ সন্তানের জননী (৩৫)।বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের মোজাপাগলার মাজার সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের আন্ধারে পাড়ার মোজা পাগলার মাজার মোড় সংলগ্ন জৈনক ব্যক্তির তিন সন্তানের এক মায়ের সাথে পরকীয়ায় জড়ান রুবেল মিয়া।তিনি ওই গৃহবধূর সাথে প্রায়ই অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে আজ রাতে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে হাতে নাতে ধরে ফেলে।
তারা আরো জানান, শিক্ষক লম্পট রুবেল মিয়া অবিবাহিত।গত এক বছর ধরে ওই বাড়িতে স্থানীয় কিছু নারীদের আরবী পড়াতেন।এরই ফাঁকে সে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।দীর্ঘ ৭মাস ধরে অবাধে যাতায়াতের সুযোগে রুবেল মিয়া ওই বাড়িতে রাত কাটাত।প্রতিবেশিদের সন্দেহ হলে তারা ওঁৎ পেতে বিষয়টি জানার চেষ্টা করে। রাতে ওই নারীর বাড়িতে আসেন রুবেল মিয়া এবং গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান করতে থাকেন।
প্রতিবেশিদের সন্দেহ হলে গভীর রাতে তারা কৌশলে ওই নারীর কাছে তার স্বামীর নাম্বার চাইতে যান। এসময় প্রতিবেশিদের উপস্থিতি টের পেয়ে রুবেল মিয়া খাঁটের নিচে লুকিয়ে থাকে। ঘরের মধ্যে রুবেল মিয়ার অবস্থান নিশ্চিত হলে অন্যরা এসে তাকে ধরে ফেলে।
বিষয়টি জানার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী সাজু ওই বাড়িতে আসেন। এলাকাবাসীর চাপে পুলিশে খবর দিলে এসআই আব্দুল্লাহ আল-মামুন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় চেয়ারম্যান অভিযুক্ত ওই নারী ও রুবেল মিয়াকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করলে তাদের থানায় আনা হয়।
উল্লেখ্য, আটক নারীর স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। সেই সুবাদে প্রায়ই ওই আরবী শিক্ষক এ বাড়িতে এসে রাত কাটাতেন এবং অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশের এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অভিযুক্ত দুইজনকে আমরা থানায় নিয়ে যাচ্ছি। থানায় নেয়ার পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।