পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সকল ধর্মের প্রতি সম্মান রেখে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে এই সরকার বদ্ধ পরিকর।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫ টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর শিববাজার উন্মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গণে মণিপুরী মহারাসলীলা উৎসবে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রীকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে রাসলীলার বই ও মনিপুরী চাদর পরিয়ে সম্মান জানানো হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র জনোগোষ্ঠী মণিপুরী জাতিগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। সকল জাতি ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষের আগমনে মণিপুরীদের ঐতিহ্যবাহী রাসলীলা উৎসব অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। রাসলীলা উৎসব রাত জুড়ে চলে জনসমাগমে উপস্থিতিতে এক আনন্দ মুখর পরিবেশে লোকেলোকারন্য।
তিনি আরো বলেন, কৃষকরা সার্বিকভাবে অনেক ভর্তুকি পায়। ৭০ টাকার ইউরিয়া সার সরকার ১৭ টাকায় বিক্রি করে। সরকার কৃষকদের কাছে ৫ ভাগের ১ ভাগ দামে ইউরিয়া সার বিক্রি করে। এটা কি ভর্তুকি নয়? কৃষকেরা ডিজেল এবং বিদ্যুৎ সেচের কাজে ব্যবহার করে, সেটাও কম দামে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, নানাভাবে আমরা কৃষদের সহায়তা দিয়ে থাকি। তাদের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। তারা আমাদেরই লোক। সকল বিবেচনা আখেরে জনগণের কল্যাণেই করা হয়।
আলোচনা সভায় মণিপুরী রাসলীলা সেবা সংঘের সভাপতি প্রকৌশলী যোগেশ্বর চ্যাটার্জীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) শহীদুল হক মুন্সি, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমেদ, কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান, মণিপুরী সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি আনন্দমোহন সিংহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে উন্মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গলে মনিপুরী রাখাল নৃত্য উপভোগ করেন মন্ত্রী। সারারাত জুড়ে চলে এ রাসলীলা উৎসব। সকল শ্রেনী পেশার মানুষের এ শীতের রাতে ও উপস্থিতির এতটুকু কমতি ছিলনা।