একটি সেতুর অভাবে উপজেলা শহর হতে দীর্ঘ ২০ বছর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ১১টি গ্রামের বাসিন্দারা।প্রয়োজনের তাগিদে স্থানীয়ভাবে বাঁশের একটি ছোট্র সাঁকো তৈরী করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছেন ওই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দা।শিক্ষা,স্বাস্থ্য সুবিধা পেতে কিংবা কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতিনিয়তই বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন তারা।
এমন বিড়ম্বনা হতে মুক্তি পেতে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার রৌমারী ও শৌলমারী ইউনিয়নের ১১ টি গ্রামের মানুষের একমাত্র যাতায়াত পথ সুতিরপাড় ও চর বামনের চর সড়কে এলজিইডির আওতায় ও ক্ষুদ্র পানি সম্পদ বিভাগের অধীনস্ত বোয়ালমারী বেড়িবাঁধ প্রকল্পের কিছু অংশ বাতিল করে অপরিকল্পিত স্লেুইসগেটের স্থলে ব্রীজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী ১১ গ্রামের বাসিন্দারা।
রোববার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার শাপলা চত্বর থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা চত্বরে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়।পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে তারা।
মানববন্ধনে রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এ্যাডভোকেট মাসুম ইকবাল,কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের সদস্য নুরুল আমিন,উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি হারুনর রশিদ,গণকমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শামছুল আলম,সাধারণ সম্পাদক শাহ মোমেন,সুতিরপাড় গ্রামের সাবেক ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান আসাদ,চর বামনের চর গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক,অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক জিন্নাত আলী, সমাজসেবক ফজলু রহমান প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন,দীর্ঘদিন থেকে এই সেতু নির্মানের দাবি করা হলেও তা বাস্তবায়ন তো দূরের কথা আজও নজরে আসেনি প্রশাসনের।এতে ১১টি গ্রামের মানুষেরে প্রতিদিনের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।সেতুর অভাবে আমরা প্রায় ২০ বছর খেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা বাশেঁর সাঁকো পারাপার করছি।প্রয়োজনের তাগিদে বাঁশের সাঁকো পারাপারেও দিতে হয় অতিরিক্ত চাঁদা।সব এলাকার উন্নয়ন হলেও আমাদের এলাকার উন্নয়ন নেই।একটি সেতুর অভাবে পিছিয়ে আছি।
এলাকার কিছু অসাধু নেতা ও কতিপয় সুবিধাবাদী ব্যক্তিরা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য অপরিকল্পিতভাবে বেড়িবাঁধ অনুমোদন করিয়ে স্থানীয় ক্ষুদ্র ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির নামে ও বেঁড়িবাধ সংস্কারের নামে প্রতিবছর প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে।বন্যার সময় পানি প্রবাহের জন্য স্লুইসগেটটি অপ্রতুল হওয়ায় বেঁড়িবাধ উপচে গিয়ে প্রতিবছর দুই পাশে ভেঙে যায়।
এমনকি পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে বাঁশের সাঁকোটিও ভেসে যায়।জনদুর্ভোগ লাঘবে অবিলম্বে এই বেঁড়িবাধ প্রকল্পের কিছু অংশ বাতিল করে স্লুইসগেটের স্থলে টেকসই ব্রীজ নির্মানের জোর দাবি জানান তারা। মানবন্ধন শেষে ০৩ দফা দাবিতে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন ভুক্তভোগীরা।