মরমী সাধক বাউল শিরোমণি ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩১তম তীরোধাম দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ায় রবিবার থেকে বাউল উৎসব শুরু হবার কথা থাকলেও তা হয়নি।দেশজুড়ে করোনা মহামারির কারনে জেলা প্রশাসন এ বছর লালন স্মরনোৎসব বাতিল করেছেন।এর পরেও থেমে নেই বাউল সাধু ভক্তবৃন্দরা।দলে দলে হাজির হয়েছে লালন আখড়া বাড়ীতে।
প্রতিবারের মত এ বছরও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৩ দিন ব্যাপী লালন স্মরনোৎসবের কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারনে অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়েছে প্রশাসনের।তবে বিদেশ থেকে লালন ভক্তরা না আসলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তর থেকে শত শত লালন ভক্তরা শাইঁজীর মাজার চত্বরে এসে উপস্থিত হয়েছে।দিন রাত লালনের গান বাজনা করে সময় পার করছে লালন সাধু ভক্তরা।অনেকেই এসেছে ৩/৪ দিন আগেই।
অনেকেই রবিবার সকাল থেকে লালন আখড়াবাড়ীতে উপস্থিত হচ্ছে।লালন সাধু ভক্তরা লালন একাডেমীর নিচে জায়গা করে নিয়ে তাদের মনের আবেগে লালন সংগীত পরিবেশন করে লালনের দর্শনকে আখড়ে ধরেছেন।তবে কালিগঙ্গা নদীর পারে এবার অনুষ্ঠান না থাকায় লালন মাজার চত্বরেই ভীড় করেছে লালন ভক্তরা।প্রতিবছর এই দিনের অনুষ্ঠানের মধ্যে থাকে লালনের কর্মময় জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনা সভা,বাউল গানের আসর আর মাসব্যাপী গ্রামীণ মেলা।
এ উৎসবকে ঘিরে ছেঁউড়িয়ার মরা কালি নদীর তীরে লালনের আখড়া বাড়িতে বাউল ভক্ত আর সাধুদের হাট বসে।বাংলা ১২৯৭ সালের পহেলা কার্তিক সাধক পুরুষ লালন সাঁই মৃত্যুবরণ করেন।এরপর থেকে লালনের ভক্ত অনুসারীরা প্রতিবছর ছেঁউড়িয়ার আখড়া বাড়িতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ দিনটি পালন করে আসছেন।সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় স্থানীয় জেলা প্রশাসন ৩ দিনের অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করে থাকেন।
স্থানীয় প্রশাসন এ বছর অনুষ্ঠান বন্ধ করায় বাউলরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।তারা তাদের সাইজিকে খুজে পেতে ছুটে এসেছে লালনের আখড়া বাড়ীতে বললেন দিনাজপুর ফুলবাড়ীয়া থেকে আসা সাধু আলতাফ হোসেন।লালন শাইজীর নিকট থেকে আল্লাহর রছুলকে চেনা বা জানার জন্যই এখানে এসেছেন সাধুরা।প্রায় ৪০ বছর ধরে লালনের সান্নিধ্য পাবার জন্যই এই আখড়া বাড়িতে আসেন।এমনটি জানালেন ঢাকা কেরানীগঞ্জ থেকে আসা সাধু আবুল কালাম আজাদ।